স্টাফ রিপোর্টার: সাগ্নিকের (Sagnik Chakraborty) ভুয়ো কলসেন্টার থেকে রোজগার হওয়া বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা কোথায়? সেই টাকার হদিশ এবার পেতে চাইছে পুলিশ। যে সম্পত্তি বিক্রি করে নিউ টাউনের ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে বলে দাবি করেছে সাগ্নিকের পরিবার, চলছে সেই দুই সম্পত্তির খোঁজ।
জানা গিয়েছে, নিউটাউনের ওই বহুতল আবাসনের প্রোমোটিং সংস্থার কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটটিতে সাগ্নিক চক্রবর্তীর অভিনেত্রী প্রেমিকা পল্লবী দে (Pallavi Dey) যাতায়াত করতেন কি না, তাও জানার চেষ্টা করছেন গড়ফা থানার আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পল্লবীর পরিবারের লোকেদেরও।
দক্ষিণ কলকাতার গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুরে টেলি সিরিয়াল অভিনেত্রী পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর তাঁর পরিবারের অভিযোগে প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পল্লবীর বাবার অভিযোগ ছিল, তাঁর মেয়ের টাকায় নিউটাউনে ৮০ লাখ টাকার ফ্ল্যাট কেনে সাগ্নিকের পরিবার। এই টাকার উৎসের সন্ধান চালাতে গিয়েই পুলিশ জানতে পারে যে, সাগ্নিকের টাকার মূল উৎস ছিল রাজারহাটে ভুয়ো কলসেন্টার। ওই কলসেন্টার থেকে রোজগার হওয়া নগদ টাকা খরচ করে চলত বিলাসিতা।
[আরও পড়ুন: পরিচালকের কাজে অসন্তুষ্ট, ‘কভি ইদ কভি দিওয়ালি’ ছবির পরিচালনার দায়িত্বে খোদ সলমন!]
কিন্তু ওই নগদ টাকা কোথায়, সেই সম্পর্কে বিশেষ তথ্য পুলিশকে দেননি সাগ্নিক। তিনি নিজেই নগদ টাকা খরচ করে ফ্ল্যাটের জন্য ৪৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কি না, সেই তথ্যও পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। এ ছাড়াও ভুয়ো কলসেন্টারের নগদ টাকা অন্য কোনও ভুয়ো অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল কি না, সেই সম্পর্কেও তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে। সাগ্নিকের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিছু টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকে টাকা পল্লবী দের অ্যাকাউন্টে যেমন পাঠানো হয়েছে, তেমন পল্লবীও তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠিয়েছেন বলে প্রমাণ মিলেছে।
এই টাকার হদিশ জানতে শনিবারই সাগ্নিক চক্রবর্তীর মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী ও বাবা সুভাষ চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠান গড়ফা থানার আধিকারিকরা। পুলিশের তাঁরা দাবি করেছেন, নিজেদের দু’টি সম্পত্তি বিক্রি করে তাঁরা নিউটাউনের ফ্ল্যাট কেনার জন্য আগাম টাকা দেন। তাঁদের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রমাণও মিলেছিল। পুলিশের প্রশ্ন, সেই দু’টি সম্পত্তি কোথায় ছিল? কবেই বা তাঁরা বিক্রি করেছেন? সেই সম্পর্কে নথিপত্রও পুলিশ দেখতে চেয়েছে সাগ্নিকের পরিবারের লোকেদের কাছ থেকে।
অডি গাড়িও ৯ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে সাগ্নিককে উপহার দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন সাগ্নিকের অভিভাবকরা। ওই টাকা সাগ্নিকের বাবা ও দাদু দিয়েছেন বলে জানানো হয়। এখনও গাড়ির ইএমআই দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি তোলে পরিবার। যদিও পুলিশের কাছে খবর, সাগ্নিক নগদ টাকা দিয়েই কিনেছিলেন ওই গাড়ি। তাই গাড়ি সংক্রান্ত নথিপত্রও চাওয়া হচ্ছে পরিবারের কাছ থেকে।