সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশায় (Odisha) তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া দলিত ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত স্কুলের পিওন। ৮ বছরের শিশুকে স্কুলেরই একটি ঘরে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এলাকায়। অভিযুক্ত পিওনের উপর চড়াও হয় অভিভাবক এবং স্থানীয়রা। তাঁদের হাত থেকে উদ্ধার করে পিওনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এতে ক্ষেপে ওঠে জনতা। পুলিশের জিপে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি রায়গড়া জেলার ডাঙ্গাসিল গ্রামের আশ্রম স্কুলের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর বাড়ি ফিরছিল ওই দলিত ছাত্রী। সেই সময় তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে স্কুলের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায় অভিযুক্ত পিওন। সেখানেই আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সহপাঠী বন্ধুরা খেয়াল করে রক্তাক্ত ছাত্রী ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছে। তারা প্রধান শিক্ষক এবং ছাত্রীর মা’কে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত পিওনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: রোগী সেজে চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকে ডাকাতি, চিরকুটে ‘দুঃখিত’ লিখে গেল দুষ্কৃতী]
যদিও জনতা দাবি করে, অভিযুক্তকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। পুলিশ তা না করায় ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ভয়ে বাড়িছাড়া গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ। অভিযুক্ত পিওনকে সাসপেন্ড করেছে স্কুল বোর্ড। শো’কজ করা হয়েছে প্রধান শিক্ষককে। অসুস্থ ছাত্রীর চিকিৎসা চলছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে।