বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বাংলার পরিষদীয় রাজনীতির ইতিহাসে এই প্রথমবার। বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস বিধায়ক নেই। সেই বামশূন্য (Left less WB Assembly) বিধানসভায় সাড়ম্বরে পালিত হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর (Jyoti Basu) জন্মবার্ষিকী। তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধা জানালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য বিধায়করা।
একুশের ভোটযুদ্ধে একটি আসনও পায়নি বামেরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভায় বাম প্রতিনিধিত্ব নেই এবার। এমন পরিস্থিতিতে আশার আলো সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র প্রতিনিধি নওসাদ সিদ্দিকি। এদিন তিনিও জ্যোতি বসুর তৈলচিত্রে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তবে এদিন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: ‘সরকারি প্রকল্পের সুবিধা কারা পান?’, অডিটের দাবিতে বিধানসভায় সরব বিজেপির অশোক লাহিড়ী]
জ্যোতি বসুর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন বঙ্কিম ঘোষ এবং পরেশ অধিকারী। এবারের বিধানসভাও রয়েছেন তাঁরা। তবে জার্সি বদলেছেন দু’জনই। বঙ্কিমবাবু এখন বিজেপি বিধায়ক আর পরেশবাবু তৃণমূলে। এদিন তাঁরাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও। প্রকাশ্যেই তিনি নিজেকে জ্যোতি বসুর ‘ফ্যান’ বলে দাবি করেছিলেন। এদিন বিধানসভায় নিজের ‘গুরু’কে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মদন মিত্রও। সবমিলিয়ে বাম বিধায়ক শূন্য বিধানসভায় সাড়ম্বরেই পালিত হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্মবার্ষিকী। তবে দলীয় নেতা হিসেবেও বিধানসভায় আসতে দেখা যায়নি কোনও বাম নেতাকে। তবে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় জ্যোতি বসুর জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের অনুপস্থিতি নিয়ে খেদ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে বিধান পরিষদ। বাম-কংগ্রেসের নেতাদের সেখানে স্থান দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও।