সোমনাথ রায়, শ্রীনগর: নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫৮.১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। বলা বাহুল্য, শতাংশের এই হার দিনশেষে আরও বাড়বে। ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির পর প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে উপত্যকার মানুষ স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল, বুলেট নয় ব্যালটেই ভরসা রাখছেন তাঁরা। এমনকী দক্ষিণ কাশ্মীরের যে অঞ্চলগুলি জঙ্গি তৎপরতার জন্য কুখ্যাত। সেখানেও খোলা মনে গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হচ্ছেন ভূস্বর্গবাসী।
কাশ্মীরে তিন দফায় ভোটগ্রহণ হবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। ৮ অক্টোবর ফল ঘোষণা। এদিন সকাল থেকেই বুথমুখী উপত্যকার মানুষ। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৮.১৯ শতাংশ। বুধবার সকলকে ভোটগ্রহণ পর্বে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেল লেখেন, "জম্মু ও কাশ্মীরের বিধাসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় নির্বাচনী এলাকার সকলকে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানাচ্ছি।"
এদিন গণতন্ত্রের উৎসবে যেভাবে শামিল হয়েছেন মানুষ, তাতে করে বলা যেতেই পারে, প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহদান কাজে এসেছে। নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথের সামনে ছিল উৎসাহী ভোটরদের ভিড়। জঙ্গি উপদ্রুত অনন্তনাগ (৪১.৫৮%), ডোডা (৭০.২১%), পুলওয়ামা (৪৬.২২%), শোপিয়ানেও (৫৪.৫২%) ভোটদানের হার যথেষ্ট ভালো। সব মিলিয়ে উপত্যকার ভোটপর্ব শুরু হল নজিরবিহীন সাফল্যের সঙ্গেই। যা ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তবে ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পরেই জানা যাবে কাশ্মীরের জনতা কী চান।
এদিকে ছাপ্পা ভোট নিয়ে ন্যাশনাল কনফারেন্স-পিডিএফ তর্জা চরমে উঠল। পিডিপি প্রার্থী মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজার বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ আনলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী ড.বসির আহমেদ। বুরখার আড়ালে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেতা-হারার ঊর্ধ্বে কাশ্মীরের উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন মেহবুবা মুফতির মা গুলশন আরা। সকালে ভোট দিতে এসে তিনি বলেন, ”আমি চাই, যিনিই মুখ্যমন্ত্রী হোন, পরিস্থিতির যেন উন্নতি হয়।”