সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা-সহ তিন কেন্দ্রের রাজ্যসভা উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। আগামী ২৯ নভেম্বর বাংলা, কেরল এবং মহারাষ্ট্রের একটি করে আসনের উপনির্বাচন হবে। সেদিনই বিকেলে ফল ঘোষণা করা হবে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর আচমকাই ইস্তফা দিয়ে দেন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ (Arpita Ghosh)। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। অর্পিতার সেই ছেড়ে যাওয়া আসনেই উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করল কমিশন। বস্তুত, সাংসদ পদে অর্পিতার মেয়াদ ছিল ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ নতুন যিনি সাংসদ নির্বাচিত হবেন, তিনি এখনও প্রায় সাড়ে চার বছর সাংসদ পদে থাকতে পারবেন।
যদিও, বাংলায় আদৌ এই উপনির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, গত দুটি রাজ্যসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিরোধীরা প্রার্থী না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল (TMC)। এর আগে তৃণমূলের তরফে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হয়েছেন প্রাক্তন আমলা জহর সরকার এবং কংগ্রেস (Congress) ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুস্মিতা দেব। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, আগের দুটি রাজ্যসভার উপনির্বাচনের মতো এবারেও শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে না বিজেপি। একে তো বিধানসভায় শক্তির নিরিখে জয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। তার উপর আবার প্রার্থী দিলে বিধানসভায় বিজেপির আসল শক্তি প্রকাশ্যে চলে আসতে পারে।
[আরও পড়ুন: সর্দার প্যাটেলের আদর্শেই যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম ভারত, দাবি মোদির]
তবে, বিজেপির প্রার্থী দিক বা না দিক, এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভার এই আসনের উপনির্বাচনে কাকে প্রার্থী করে, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। কারণ, অর্পিতার পদত্যাগের কয়েকদিন বাদেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়ে সাংসদ পদও ছেড়েছেন তিনি। তাঁকে কি এবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাঠানো হবে? নাকি সুস্মিতা দেবকে যেভাবে রাজ্যসভা পাঠানো হল, সেভাবে অন্য রাজ্যের কোনও নেতাকে টিকিট দেওয়া হবে? এসব নিয়েই এখন জল্পনা তৃণমূলের অন্দরে।