নব্যেন্দু হাজরা: উড়ছে ধুলো। মরছে ঘাস। বাড়ছে দূষণ (Pollution)। ভোটযুদ্ধে ময়দান মুখ ঢেকেছে ধুলোয়। সোমবার সকালের দিকে তো এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে উলটো দিকটাও পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছিল না। মুখে বাঁধতে হচ্ছিল রুমাল। বেলা বাড়তে তবু কিছুটা কাটে তা।
গত সপ্তাহে গিয়েছে বামেদের ব্রিগেড। আর এই রবিবার বিজেপির। জোড়া ব্রিগেডের চাপে অসহায় অবস্থা ময়দানের। পায়ের তলায় পিষ্ট ঘাস। সবাই মৃত। আর ঘাস মরে যাওয়াতেই ধুলো উড়ছে ব্রিগেডে। সহনসীমার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ সূক্ষ্ম ও অতি সূক্ষ্ম কণা বাতাসে ভাসছে। সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ১০ শ্বাসযন্ত্রে ও অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ সরাসরি ঢুকছে ফুসফুসে। তাতে নানা ধরনের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকছে মানবদেহে। আর পায়ে পায়ে আক্রান্ত পরিবেশও। ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে দূষণ। পরিবেশবিদরা যা দেখে শঙ্কিত।
[আরও পড়ুন : আমেরিকায় উল্কাপাত! প্রচণ্ড শব্দ ও আলোর ঝলকানি ঘিরে চাঞ্চল্য]
রবিবার ফোর্ট উইলিয়ামের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে যে দূষণের মাত্রা ছিল তা বেশ খারাপ। নিয়ম অনুযায়ী ১০১-২০০ পর্যন্ত দূষণের মাত্রা যদি থাকে তবে তা খারাপের দিকেই। রবিবার দিনভর সেই মাত্রা ওঠা-নামা করেছে ১৯২ থেকে ২০০-র মধ্যে। তবে সোমবার সেই পরিমাণটা কিছুটা কমেছে। যে দূষণটা অবশ্য ছড়িয়েছে তার বেশিরভাগটাই এই ধূলো থেকে। সোমবারও এর মাত্রাটা ছিল অনেকটাই। ১২৪ থেকে ১৩০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে।
[আরও পড়ুন : নাসার ক্যামেরায় এবার অতিকায় নীলচে ছায়াপথের ছবি! বিস্মিত মহাকাশপ্রেমীরা]
পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, যেভাবে মিটিং-মিছিল চলছে তাতে আগামী দু’মাস দূষণের মাত্রাটা বাড়বে শহরে। সেক্ষেত্রে শুধু করোনা থেকে বাঁচতে নয়, ধুলোর হাত থেকে বাঁচতেও মাস্ক বড় ভরসা হতে পারে। তাঁদের কথায়, ভোট তো হবেই। জনসভাও হবে। কিন্তু দলগুলোর এই ব্রিগেড ভরানোর ব্যবধান যদি একটু বেশি হয়, তবে ধুলোর থেকে একটু বাঁচে শহর। শহরে এত মানুষ এলে তাঁদের পায়ে পায়ে ধুলো তো আসবেই। আর তার জের থাকে আরও বেশ কয়েকদিন। এতটাই ধুলো ওড়ে এই সময় যে মাঠে আসা মানুষ এমনকী যাঁরা সেখানে ছোট-খাটো জিনিস, খাবার বিক্রি করেন, তাঁরাও মুখে রুমাল বাঁধেন।
পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলেন, “যে কোনও ব্রিগেডের জনসভাতেই সবুজ ধ্বংস হয় ময়দানে। ঘাস পায়ে পিষ্ট হয়। ফলে ধুলো টেনে নিতে পারে না। ধুলো উড়তে থাকে মারাত্মকভাবে।