সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন তিনেক আগেই সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, কোনও নাগরিককে পরিবার পরিকল্পনার জন্য চাপ দেওয়ার পক্ষে তারা নয়। ভারতে পরিবার নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। আর এখনই তা পরিবর্তন করতে চায় না সরকার। কিন্তু কেন্দ্রের এই বয়ানের কয়েক দিনের মধ্যেই ফের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল নিয়ে জল্পনা উসকে দিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। মোদি মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য গিরিরাজের সাফ কথা, দেশের সার্বিক উন্নতি এবং সামাজিক সংহতির জন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল অবশ্য প্রয়োজনীয়।
৩৭০ ধারা বাতিল হয়েছে, রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হয়েছে। বিজেপি সমর্থক তথা উগ্র দক্ষিণপন্থীরা এবার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের অপেক্ষায়। বিজেপিরই (BJP) এক আইনজীবী নেতা অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় কিছুদিন আগে দিল্লি হাই কোর্টে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মাবলী বেঁধে দেওয়ার দাবিতে একটি আরজি দাখিল করেছিলেন। তাঁর অনুরোধ ছিল, আদালত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে দুই সন্তান নীতির মতো নির্দেশিকা বেঁধে দিক। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্ট ওই বিজেপি নেতার আবেদন খারিজ করে দেয়। তাতে দমে না গিয়ে অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর করা আবেদনের ভিত্তিতেই কেন্দ্রের মত জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। গত ৭ ডিসেম্বর নিজেদের মত জানিয়ে আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করে মোদি সরকার। কেন্দ্রের হলফানামায় বলা হয়,”ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের (Population Control) বিষয়টি পুরোপুরি ঐচ্ছিক। যা কিনা প্রত্যেক দম্পতিকে অধিকার দেয়, তাদের পছন্দমতো পরিবারের সদস্য সংখ্যা এবং পরিবার নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি বেছে নেওয়ার। এটা সম্পূর্ণই তাঁদের উপর নির্ভর করে, এবং কাউকেই বাধ্য করা হয় না। আর কেন্দ্র পরিবার নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মাবলী চাপিয়ে দেওয়ার বিপক্ষে।”
[আরও পড়ুন: মায়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে নওয়াজ শরিফকে চিঠি মোদির! কূটনৈতিক মহলে জল্পনা]
আদালতে এই হলফনামার পর মনে হয়েছিল, কেন্দ্র হয়তো এখনই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনতে চাইছে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় পশুপালন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের মন্তব্য ফের জল্পনা বাড়িয়ে দিল। তিনি বলছেন,”এটাকে ধর্ম বা ভোটব্যাংকের রাজনীতির সঙ্গে ঘুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। দেশের সার্বিক উন্নতি এবং সামাজিক সংহতির জন্যই কড়া জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োজন।” গিরিরাজ বলছেন, প্রয়োজনে সংসদে এটা নিয়ে আলোচনা হোক।