সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণির নামের আগে বিতর্ক শব্দটা যেন একেবারেই জন্মলগ্ন থেকে। আর যত দিন যাচ্ছে বিতর্ক যেন বেড়েই চলেছে। তবে যতই বিতর্ক উঠুক পরীমণি যে সুন্দর মনের মানুষ, তার প্রমাণ ফের পাওয়া গেল। নিজের হাতে পরা এনগেজমেন্টের আংটি খুলে পরীমণি উপহার দিলেন খুদে শিল্পীকে! আর এই কাণ্ড করে সহকর্মীদের মন জিতে দিলেন বাংলাদেশের পরী।
এই গোটা ঘটনার বিবরণ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন ‘মা’ ছবির পরিচালক অরণ্য আনোয়ার। পরিচালকের কথায়, বেলা তিনটের দিকে শুটিং প্যাকআপ করে টিমের সঙ্গে খেতে বসলাম। এ সময় একজন বলল, পরীমণি আপনাকে ডাকছেন। পরীর কাছে যেতেই, তিনি বললেন, আমার সঙ্গে যে খুদে শিল্পীটা অভিনয় করেছে, তাঁকে একটা উপহার দেওয়া উচিত।
[আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরছে ‘গোয়েন্দা গিন্নি’? রহস্য ফাঁস করলেন ইন্দ্রাণী হালদার]
পরিচালকের তাঁর পোস্টে জানান, ‘ওর কথা শেষ হওয়ার আগেই আমি উত্তর দিলাম, ওটা নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না। আমি ব্যবস্থা করছি। বলেই আমি চলে এলাম। আমার মাথায় তখন খাওয়াদাওয়া শেষ করে ডে লাইটে একটা দৃশ্য শেষ করার চিন্তা। আমি পেশাদার মানুষ। আমার প্রোডাকশন আগেই শিশুটির সম্মানী বাবদ একটা অঙ্ক খামে করে ওর মায়ের হাতে তুলে দিয়েছে। সেটাকে আমি যথেষ্ট বলে মনে করি। খাওয়া শেষে উঠানে একটা দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের আয়োজন করছি, এ সময় আবার ঘরের ভেতর থেকে পরীর ডাক। আমি ব্যস্ত, তবু ভাবলাম ওকে বিদায় দিয়ে আসি। ঘরে ঢুকতেই দেখলাম রাজ আর পরীর হাতে একটা সোনার রিংয়ের ছোট বাক্স। পাশে বসা সেই শিশুটির মা। পরী বলল, ‘ভাইয়া, আমার দুটো এনগেজমেন্ট রিংয়ের একটা হচ্ছে এটা। আমি বাবুটাকে আপনার হাত দিয়ে এই রিংটা উপহার দিতে চাই।’ আমি হতভম্ব! কী বলে এই মেয়ে?’
পরিচালক তাঁর পোস্টে আরও জানান, এই আংটি উপহার দেওয়ার ব্যাপারটি গোপনই রাখতে চেয়েছেন পরী। আর তাই তো ছবিও তুলতে চাননি।
পরিচালক অরণ্য ফেসবুকে আরও লিখলেন, ‘আমরা ছবি তুললাম না। কিন্তু পরীর এই আবেগের কথা আমি লিখব না, মানুষকে জানাব না, এতটা চাপা স্বভাবের মানুষ যে আমি নই। দুই মাস বয়সী শিশুটির বাবা একজন অটোরিকশাচালক, মা গৃহিণী। স্যালুট, পরীমণি। তোমাকে স্যালুট, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা।’
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে পরীমণি অভিনীত ছবি ‘গুণিন’। ছবিটি ঘিরে ইতিমধ্যেই অনুরাগীদের উৎসাহ তুঙ্গে।