সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সপ্তাহও হয়নি। গত ১৬ জুলাই বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মাত্র কয়েক দিন যেতে না যেতেই ধসে গেল সেই রাস্তার একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ১৫ হাজার কোটি টাকার বিপুল ব্যয়ে তৈরি সড়ক কীভাবে ৫ দিনের মধ্যেই এমন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হল, উঠছে প্রশ্ন।
গত শনিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) জালাউনে ২৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কিন্তু বুধবার বিকেলের দিকে দেখা যায় প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমেছে রাস্তার একাংশে। এমনকী, সেই কারণে দু’টি গাড়ি ও একটি মোটরবাইকও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তড়িঘড়ি মেরামতির কাজ শুরু করলেও সমালোচনা কমেনি। প্রশ্ন উঠছে, শুরুতেই যদি এই হাল হয়, তাহলে চার লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ে ভবিষ্যতেও বারবার মুখ থুবড়ে পড়বে।
[আরও পড়ুন: ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কতটা? চাইলে কি সরকারের সঙ্গে সংঘাতে যেতে পারেন তিনি?]
উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ, দুই রাজ্যেরই বেশ কিছু জেলা বুন্দেলখণ্ডের অন্তর্গত। বস্ত্র থেকে দুগ্ধজাত দ্রব্য, নানা উৎপাদন শিল্পের ক্ষেত্রে নবনির্মিত এক্সপ্রেসওয়ে যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে, তা আগেই শোনা গিয়েছিল। কিন্তু শুরুতেই এমন ঘটনায় সেই রাস্তার আয়ু নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।
এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ভোটের লোভে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি চলছে দেশজুড়ে। এই সংস্কৃতি মারাত্মক। বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়েকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর বলা কথাগুলিই অন্য প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
ইতিমধ্যেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। ভাইরাল হওয়া ছবিগুলি শেয়ার করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব-সহ অনেকেই। বাদ যাননি বিজেপির ‘বিদ্রোহী’ সাংসদ বরুণ গান্ধী। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ”১৫ হাজার কোটি টাকা খরচে তৈরি এক্সপ্রেসওয়ে যদি পাঁচদিনের বৃষ্টিও না সহ্য করতে পারে, তবে তার গুণমান নিয়েই গুরুতর প্রশ্ন উঠে যায়।”