অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) ফলপ্রকাশ হয়েছে গত ২ মে। তবে জুনের শেষেও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েই তপ্ত বাংলার রাজনীতি। এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করে এই ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নালিশ জানালেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। তবে পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য নিয়ে দু’জনের কোনও কথা হয়নি বলেই দাবি সাংসদের।
মঙ্গলবার সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠক করেন জন বার্লা। তিনি দাবি করেন, অসম-বাংলা সীমানার কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ জন পঞ্চায়েত সদস্য ও কুমারগ্রামের একজন জেলা পরিষদ সদস্য স্ত্রী, সন্তান-সহ তাঁর জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, কুমারগ্রাম থানার আইসি ও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জোর করে তাঁদের দলে যোগদান করার জন্য চাপ দিচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে। আর সেই ‘অত্যাচার’ থেকে বাঁচতেই তাঁরা সাংসদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলেই দাবি করেন জন বার্লা।
[আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ দলীয় নেতাকে শোকজ ব্লক সভাপতির! কোচবিহারে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল]
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এর আগে একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপাল নিজেও বহুবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দেন। তবে এই প্রথমবার এই ইস্যুতে নালিশ জানাতেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন জন বার্লা। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের বাসভবনে যান জন বার্লা। সেখানে কথা হয় দু’জনের। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদের দাবি, ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের সুরক্ষার দাবি জানান তিনি। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি জানিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ। সেই দাবি নিয়েও কি রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয় জন বার্লার? সাংসদের দাবি, রাজ্যপালের সঙ্গে সে বিষয়ে কোনও কথা হয়নি তাঁর। বঙ্গভঙ্গের দাবি সংক্রান্ত যাবতীয় কথাবার্তা তিনি শুধুমাত্র দিল্লির শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বলবেন বলেও জানান।
দেখুন ভিডিও: