সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ২০২১ সালের নির্বাচন পরবর্তী হিংসা মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট। সুপ্রিম কোর্টে এমনই দাবি রাজ্যের। দ্রুত বিস্তারিত শুনানির আর্জিও জানানো হয় রাজ্যের তরফে। এই পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের মন্তব্য জানতে চাইল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ।
একুশের বিধানসভা ভোটে বড়সড় ব্যবধানে জয়ী হয় তৃণমূল (TMC)। তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসার একাধিক অভিযোগ ওঠে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অত্যাচারের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধীরা। মূলত বিজেপি। কলকাতা হাই কোর্টে একের পর এক মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে কলকাতা হাই কোর্ট খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনার তদন্তভার দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। রাজ্যের সেই আবেদন শুনতে রাজি হল সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবার আদালতে রাজ্যের তরফে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, "তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া হয় অভিযোগকারীরা সত্যি নির্যাতিত, তবুও বলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট। দ্রুত বিস্তারিত শুনানি হওয়া প্রয়োজন।" এর পরিপ্রেক্ষিতেই সিবিআইয়ের মন্তব্য জানতে চাইল শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: কী হয়েছিল বাংলাদেশে? রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের দাবি ব্রিটেনের]
প্রসঙ্গত, এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা অন্যরাজ্যে সরানোর আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল সিবিআই। তাঁদের অভিযোগ, ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী হিংসার ৪০ টি মামলার ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা হচ্ছে। সাক্ষী ও আইনজীবীদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। আক্রান্ত হতে হচ্ছে। এই অভিযোগকে সামনে রেখেই ৪০ টি মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মতামত জানতে চায় আদালত।