সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মুখে যাঁরা ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মশিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশের গলাতেই এখন ভিন্ন সুর। অনেকেরই মোহভঙ্গ হয়েছে বিজেপিতে (BJP)। ফের পুরনো দলে ফিরতে চাইছেন তাঁরা। কানাঘুষো শুরু হয়েছে সেই তালিকায় নাম রয়েছে প্রবীর ঘোষালের (Prabir Ghoshal)। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ কোন্নগর।
ভোটের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। হাতে তুলে নিয়েছিলেন বিজেপির পতাকা। প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগও পেয়েছিলেন নির্বাচনে। কিন্তু জয়ের মুকুট মাথায় ওঠেনি। তারপরই ফের বেসুরো প্রবীর ঘোষাল। কিছুদিন আগেই তাঁর মা প্রয়াত হন। তারপরই অভিমানের সুরে তিনি বলেছিলেন, “বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব মাতৃবিয়োগের পর খোঁজ নিয়েছে। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব কেউ একবার ফোনও করেননি।” অথচ ৩০ বছর আগে যখন পিতৃবিয়োগ হয়েছিল তখন তপন শিকদার, বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রী, সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দাপুটে বিজেপি নেতারা তাঁর বাড়িতে এসে খবর নিয়েছিলেন। পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকও (Kanchan Mullick) তাঁকে ফোন করেছেন বলে জানান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভূয়সী প্রশংসাও করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা, বিশ্বাসযোগ্যতা, ভাবমূর্তি এতটাই যে কোনও বিরোধী নেতাই তার ধারেকাছে নেই।”
[আরও পড়ুন: ‘কথা বলার সুযোগ ছিল না’, বিজেপির WhatsApp গ্রুপ ছাড়া নিয়ে মুখ খুললেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক]
প্রাক্তন বিধায়কের মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে দলবদলের জল্পনা তৈরি করেছিল। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনাও শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কোন্নগরে দেখা গেল প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার। সেখানে লেখা হয়েছে, “মধুচক্রের নায়ক, গদ্দার প্রবীর ঘোষালকে দলে ফেরানো যাবে না।” যদিও কাকে দলে ফেরানো হবে, তা সম্পূর্ণ দলের সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এই ধরনের পোস্টার দেওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।