অর্ণব দাস, বারাসত: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মহিলাদের সঙ্গে আপত্তিকর ফোনালাপ! কল রেকর্ডিং ও নগ্ন ছবি-ভিডিও ফাঁস করে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। আপত্তিকর ছবি ব্যবহার করে ছাপানো হয়েছে পোস্টার, যা ছয়লাপ উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়াজুড়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল অস্বস্তিতে তৃণমূল। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি, গোটা বিষয়টাই সাজানো। এবিষয়ে তিনি দলকেও জানিয়েছন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সক্রিয় সদস্য তথা জেলা তৃণমূলের একজন দাপুটে নেতা। আগে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারনার অভিযোগে ছড়িয়েছিল লিফলেট, পোস্টার। এবার তাঁরই একটি নগ্ন ভিডিও কল ও উষ্ণ ফোনালাপের অডিও নিয়ে শোরগোল। তাঁকে বহিষ্কারের দাবি তুলে রবিবার ফের ছড়াল লিফলেট, পোস্টার। যদিও, ভিডিও, স্ক্রিনশট বা অডিও কোনটারই সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন। তবে, বেশকিছুদিন ধরেই তৃণমূল নেতার এই কুকীর্তি বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও কলের স্ক্রিনশটে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতা তার গোপনাঙ্গ প্রদর্শন করছেন। অপরপ্রান্তে রয়েছেন লাল নাইটি পরিহিতা এক মাঝবয়সী যুবতী। শুধু ভিডিও কল নয়, মহিলার সঙ্গে তার বাঁধনছাড়া উষ্ণ ফোনালাপের রেকর্ডিংও ভাইরাল হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে নর্দমা থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ, চাঞ্চল্য হাওড়ায়]
পোস্টারে অভিযোগ করা হয়েছে, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এই তৃণমূল নেতা এসব কুকীর্তি করে চলেছেন। এতে তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। একইসঙ্গে পোস্টারে জেলা পরিষদের এই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারেরও দাবি জানানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এর জেরে দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতার দাবি, "সমস্ত অভিযোগে মিথ্যা, সবটাই সাজানো। আমি কাজ করি, তাই অনেকের আক্রোশ রয়েছে আমার উপর। তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।"