shono
Advertisement

ধূমপানের চেয়েও ক্ষতিকারক ‘গেরুয়া’! অভিনব পোস্টার ঘিরে শোরগোল দক্ষিণ কলকাতায়

দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ চায়ের দোকানের ভিতরে বা পাশে দেখা যাচ্ছে এই পোস্টার।
Posted: 05:38 PM Apr 21, 2021Updated: 05:53 PM Apr 21, 2021

স্টাফ রিপোর্টার: চা ও সিগারেট, রসিক বাঙালির নেশা অথবা আড্ডায় প্রিয় দুই সঙ্গীও এবার চলে এল নির্বাচনী (WB Election 2021) তরজায়। থিমের প্রচারে এ বছর কলকাতায় ফের নয়া চমকে চক্ষু ছানাবড়া শহরবাসীর। দক্ষিণ কলকাতার হাজরা, কালীঘাট থেকে শুরু করে নিউ আলিপুর, যাদবপুর থানা, পোদ্দার নগর, লেকগার্ডেন্স হয়ে রাসবিহারী মোড় ছাড়িয়ে কেওড়াতলা শ্মশানের সামনের চায়ের দোকান। চা খেতে বা সিগারেট কিনতে গেলে চোখে পড়ছে একটি অভিনব রঙিন ও বর্ণময় পোস্টার।

Advertisement

সবচেয়ে বড় কথা, নীল-সাদা ক্যানভাসের উপরে ওই বিশেষ পোস্টারে কোথাও কিন্তু লেখা নেই, কাকে ভোট দেবেন, উল্লেখ নেই কাকে সমর্থন করবেন। কিন্তু স্লোগানের অভিনবত্বই জানিয়ে দিচ্ছে, কার থেকে আপনার ও পরিবারের দূরে থাকা উচিত। আসলে ধূমপান বর্জন নিয়ে এমনিতেই সারাবছর প্রচার হয়, এবার সেখানে ভোট মিশিয়ে দেওয়ার কৌশলটাও অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।

[আরও পড়ুন: ‘ভ্যাকসিন কেনার জন্য ১০০ কোটির তহবিল’, করোনা মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা মমতার]

এবার একটু খুলে বলা যাক। ‘সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক’ এই স্লোগানটি লিখে নিচে লেখা হয়েছে, ‘গেরুয়া’ স্বাস্থ্য ও পরিবারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এবার দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ চায়ের দোকানের ভিতরে বা পাশে গেলেই চোখে পড়ছে নীল-সাদা ক্যানভাসে আর একটি ট্যাগ-লাইন। লেখা আছে, ‘চা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভাল, চা পান করুন।’ সঙ্গে লম্বাটে একটি মাটির চায়ের ভাঁড়। এর পরেই পাঠকদের জন্য বড় টুইস্ট, “কিন্তু ‘গেরুয়া’ স্বাস্থ্য ও পরিবারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।”

[আরও পড়ুন: ফের শ্বাসকষ্ট মদন মিত্রের, ভরতি হাসপাতালে, হবে কোভিড পরীক্ষাও]

প্রতিটি পোস্টারই কিন্তু নীল-সাদা ক্যানভাসের নিচে শুধুই তৃণমূলনেত্রী (TMC) ও রাসবিহারীর তৃণমূলপ্রার্থী দেবাশিস কুমারের হাসিমুখের ছবি। আর কিছুই লেখা নেই। বিষয়টি নিয়ে গেরুয়া শিবির অর্থাৎ বিজেপি (BJP) যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হলেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে কোনও অভিযোগ করেনি। এমন পোস্টার দলের যুবদের একটি অংশ তৈরি করেছে বলে স্বয়ং দেবাশিস কুমারের (Debashish Kumar) মন্তব্য, “যদি সত্যিকারের গেরুয়া হয় আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু গেরুয়ার নামে সম্পূর্ণ ধর্মান্ধকরণ রাজনীতি ও মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরি করে দিচ্ছে।” শহরবাসী বলছেন, “ওঁদের ভাবনা ও কর্মকাণ্ড সবার মানসিক স্বাস্থ্য, সমাজ ও পরিবারের জন্য খুব ক্ষতিকারক।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement