টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ফের কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন আলু ব্যবসায়ীরা। যার জেরে সপ্তাহের শুরু থেকেই বাজারে আলুর জোগানে টান পড়তে পারে। এমনই আশঙ্কা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জুলাই মাসের বৈঠকে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দুই মন্ত্রী। তার পর থেকে আর কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। এমনকী, ভিনরাজ্যে আলু পাঠাতে গেলে পুলিশ গাড়ি আটকে হেনস্তা করছে বলেও দাবি তাদের। এর প্রতিবাদে ফের কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন তাঁরা।
জুলাই মাসে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। বাজারে সাময়িক সংকট তৈরি হয়েছিল। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তড়িঘড়ি ব্য়বসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং কৃষি বিপণণমন্ত্রী বেচারাম মান্না। ব্যবসায়ীদের দাবি, আলোচনায় একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মন্ত্রীরা।
[আরও পড়ুন: আর জি করের প্রতিবাদে সরকারি পুজো অনুদান প্রত্যাখ্যান একাধিক ক্লাবের, কড়া প্রতিক্রিয়া কুণালের]
বলা হয়েছিল, সরকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২৪-২৫ টাকা কেজি দরে আলু কিনবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু বৈঠকের পর থেকে আর যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, আলুবোঝাই ট্রাক রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে আটকে রাখা হচ্ছে। হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়ের। এর প্রতিবাদে ফের ধর্মঘটের পথে হাঁটছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, রবিবার বন্ধ থাকে হিমঘরগুলি। সোমবার থেকে হিমঘরগুলি থেকে বাজারে আলু সরবরাহ করা হবে না। স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে দাম। ফলে রাখির দিন দাদা বা ভাইয়ের পছন্দের আলুর পদ রান্না করতে গেলে কালঘাম ছুটতে পারে মধ্যবিত্তের।