সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্বস্তি আরও বাড়ল প্রজ্বল রেভান্নার। গত ৩১ মে গ্রেপ্তার হওয়া দেবেগৌড়ার নাতির বিরুদ্ধে রুজু হল চতুর্থ মামলা। যৌন নির্যাতন, পিছু নেওয়া ও ভয় দেখানোর মতো ধারা যুক্ত রয়েছে এই মামলায়। একটি ভিডিও কল রেকর্ড করা ও তা শেয়ার করার অভিযোগ ওঠার পরই এই নয়া মামলা রুজু হয়েছে প্রজ্জ্বলের বিরুদ্ধে।
গত ৩১ মে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। হাসানের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক প্রীতম গৌড়া-সহ আরও দুজনের নাম অভিযুক্ত হিসেবে রাখা হয়েছে। এর আগে রেভান্নার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রুজু হয়েছিল। তার মধ্যে ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে। সোমবারই আদালতে তোলা হয়েছিল প্রজ্জ্বলকে। ৮ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বেঙ্গালুরুর আদালত। এদিকে রেভান্নার জামিন সংক্রান্ত আবেদনের রায়দান কাল, বুধবার।
[আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ভালোবাসা দেখাচ্ছে!’ জরুরি অবস্থার ৪৯ বছরে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির]
প্রসঙ্গত, প্রজ্জ্বলের একাধিক অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল নেটদুনিয়ায়। অভিযোগ ওঠে, তাঁর বাড়ির পরিচারিকাদের টানা তিন বছর ধরে যৌন হেনস্তা করেছেন প্রজ্জ্বল (Prajwal Revanna)। তদন্ত শুরু হতেই দেশ ছেড়ে পালান তিনি। আদৌ দেশে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। দুবার টিকিট কেটেও তা বাতিল করে দিতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু তিনি আগাম জামিনের আবেদন করার পর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় এবার সম্ভবত তিনি ফিরছেনই। এর পর মাঝরাতে কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে তিনি পৌঁছলে সেখানে তাঁকে গ্রেপ্তার করে তিন মহিলা পুলিশ সদস্যের এক দল।
এদিকে রবিবার যৌন নিগ্রহের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রজ্জ্বল রেভান্নার দাদা সুরজ রেভান্নাকেও। চেতন কে এস নামে এক ব্যক্তিকে উলঙ্গ করে যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত তিনি। মঙ্গলবার সুরজের মেডিক্যাল ও মানসিক স্বাস্থ্য়ের পরীক্ষা হবে। এক নির্যাতিতাকে অপহরণের অভিযোগে প্রজ্জ্বল-সুরজের বাবা এইচ ডি রেভান্নাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে তিনি পরে জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন।