সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। রবিবার সন্ধেবেলা আবারও বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রসঙ্গ উঠে এল তাঁর মুখে। জাভড়েকরের দাবি, ৬ ডিসেম্বর এক ‘ঐতিহাসিক ভুল’-এর সমাপ্তি হয়েছিল। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য চাঁদা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। শিগগিরি নির্মাণ শুরু হতে যাচ্ছে অযোধ্যার (Ayodhya) মসজিদও। এই সময়ে ফের পুরনো সময়ের প্রসঙ্গ উঠে এল বিজেপির মন্ত্রীর মুখে।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? তাঁর কথায়, ”বাবরের মতো হানাদার যখন ভারতে এসেছিলেন, তখন তিনি রাম মন্দিরই কেন ভেঙেছিলেন? দেশে তো এত মন্দির রয়েছে। কারণ তিনি জানতেন, দেশের প্রাণ যদি কোথায় থাকে, তাহলে তা রাম মন্দিরেই রয়েছে। সেই কারণেই রাম মন্দিরে হামলা করা হয়েছিল।” এ প্রসঙ্গেই এরপর তিনি তোলেন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রসঙ্গ। জানিয়ে দেন, ”এক ঐতিহাসিক ভুলের সমাপ্তি হয়েছিল।”
প্রসঙ্গত, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় ৩২ জন অভিযুক্তের মধ্যে ছিলেন এলকে আডবানী, মুরলী মনোহর যোশি, উমা ভারতীর মতো হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা। প্রায় তিন দশক ধরে মামলা চলার পর ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত সমস্ত অভিযুক্তকেই রেহাই দেয়। এদিন জাভড়েকরের বক্তব্য নিঃসন্দেহে আবারও বিতর্ক উসকে দিল। বরাবরই ‘হিন্দুত্ব’ ইস্যুকেই সামনে রেখে এগিয়েছে বিজেপি। অতিমারীর সময়ে হওয়ার প্রথম নির্বাচন হয়েছিল বিহারে। তখনও দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো নেতাও স্থানীয় ইস্যুকে গৌণ করে শান দিয়েছিলেন ‘হিন্দুত্ব’ ইস্যুতেই। আর তা করতে গিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কৃতিত্ব পুরোটাই দিয়েছিলেন নিজের দল বিজেপিকে। রবিবারও মোদি শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ এক মন্ত্রী ও নেতার রাম মন্দির নিয়ে মন্তব্য প্রমাণ করে, বিজেপি রয়েছে বিজেপিতেই।
[আরও পড়ুন: ‘নেতাজিকে হত্যা করেছিল কংগ্রেস’, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজের]
গত ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য চাঁদা সংগ্রহ। আর প্রথম দিনই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind) রাম মন্দির ট্রাস্টের হাতে তুলে দিয়েছেন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান। অক্ষয় কুমারের মতো বলি তারকাও এগিয়ে এসেছেন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই চাঁদা সংগ্রহ অভিযান চলবে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিকল্প জমিতে তৈরি হবে অযোধ্যার মসজিদ। আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে মসজিদ নির্মাণের কাজ।