সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কায়রোতে অনুষ্ঠিত জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপের (FIG apparatus World Cup 2024 World Cup) ভল্ট ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জিতে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন প্রণতি নায়েক (Pranati Nayak)। আর এই সাফল্যের সৌজন্যেই প্যারিস অলিম্পিকের (Paris Olympics 2024) ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর পদক জয় নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাঁকে। অন্যদিকে প্রণতিকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না গেরুয়া শিবির। এহেন তরজায় বেশ বিরক্ত প্রণতি। তরুণী জিমন্যাস্টের আর্জি, তাঁর পদকে যেন রাজনীতির রং না লাগানো হয়।
এমন সাফল্যের জন্য প্রণতিকে X হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছিলেন, ‘বাংলার মেয়ে প্রণতি নায়েককে অনেক অভিনন্দন। কায়রোতে অনুষ্ঠিত জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপের ভল্ট ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতার জন্য শুভেচ্ছা। বিশ্ব মঞ্চে তোমার আরও উন্নতি দেখতে চাই।’ আরও অনেকে তাঁকে অভিনন্দন জানান। কিন্তু এর পরই সোশাল মিডিয়ায় বিজেপির তরফে তোপ দাগা হয় তৃণমূলকে। তাদের দাবি, বাংলার সরকার প্রণতির পাশে না দাঁড়ানোয় তাঁকে একটা সময় ওড়িশায় গিয়ে অনুশীলন করতে হত।
[আরও পড়ুন: এশিয়াডে সোনার পরে অলিম্পিকে বালিগঞ্জের অনুশ! কীভাবে প্রস্তুতি অশ্বারোহীর?]
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য X হ্যান্ডেলে দাবি করেন, ২০২৩-এর জাতীয় গেমসে ওড়িশার প্রতিনিধি হিসেবেই গোয়ায় গিয়েছিলেন প্রণতি। চারটি সোনা এবং একটি রুপো জেতেন তিনি। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক প্রণতিকে পুরস্কার অর্থ হিসেবে ২৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে সবরকম সমর্থনের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। মালব্যের প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করেছেন?
তবে তাঁকে নিয়ে এসব রাজনৈতিক তরজা নাপসন্দ প্রণতির। তিনি বলে দেন, “আমি দেশের জন্য পদক জিতেছি, রাজ্যের জন্য নয়। আমার এই সাফল্য নিয়ে রাজনীতি করবেন না। একজন খেলোয়াড়ের পাশে দাঁড়ানোটা খুব দরকার। তাই মনে হয় না এসব নিয়ে রাজনীতির প্রয়োজন। কারণ দেশ সবার আগে।” তাঁর আর্জিতে এই ইস্যুতে রাজনৈতিক আঁকচা-আঁকচির ইতি ঘটে কি না, সেটাই লাখ টাকার সওয়াল।