সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জন সূরজ’ কোনও রাজনৈতিক দল নয়। যারা বদল চায়, এটা তাদের জন্য একটা মঞ্চ মাত্র। এখনই তিনি কোনও রাজনৈতিক দল তৈরি করছেন না। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে স্পষ্ট করে দিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। তাঁর দাবি, তিনি এখনও কোনও রাজনৈতিক দল তৈরির পরিকল্পনা করেননি। তবে আগামী দিনে যে তিনি নিজের দল গড়েই প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নামতে চান, তার স্পষ্ট ইঙ্গিতও দিয়ে দিয়েছেন পিকে (PK)।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা স্পষ্ট করে দিলেন পিকে। তিনি এদিন বলেন, আপাতত তাঁর লক্ষ্য যত বেশি সংখ্যক মানুষের সঙ্গে সম্ভব, কথা বলা। মানুষের সমস্যার কথা শোনা। প্রশান্ত কিশোর আগেই জানিয়েছিলেন, বিহার থেকেই নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারের নতুন ইনিংসটি শুরু করতে চান তিনি। সেই মতো আগামী ২ অক্টোবর অর্থাৎ গান্ধী জয়ন্তী থেকে পদযাত্রা শুরু করবেন তিনি। ৩ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ হতে চলেছে পিকের সেই পদযাত্রা। ভোটকুশলীর দাবি, এই পদযাত্রা চলাকালীন তিনি নিজে যত বেশি সংখ্যক মানুষের সঙ্গে সম্ভব কথা বলবেন। সমাজের নামী মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন। যাতে বিহারে ‘নতুন ভাবনা এবং নতুন প্রয়াস’ আনা যায়।
[আরও পড়ুন: হাঁসখালি কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারকে দিতে হবে ১ কোটি টাকা, হাই কোর্টে আরজি আইনজীবীর]
পিকের দাবি, এখনই তাঁর রাজনৈতিক দল তৈরির কোনও পরিকল্পনা নেই। বিহারে আগামী বছর চারেক নির্বাচন নেই। শুধু রাজনৈতিক দল গড়াটা যদি উদ্দেশ্য হত, তাহলে ভোটের ছ’মাস বা একবছর আগে গিয়ে তিনি দলের নাম ঘোষণা করতেন। আপাতত তিনি আগামী কয়েক বছর মানুষের কাছে যেতে চান এবং সাধারণ মানুষের কথা শুনতে চান। তারপর সকলের মত নিয়ে রাজনৈতিক প্লাটফর্মের ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা করবেন। পিকের টিম নাকি ইতিমধ্যেই ১৭ হাজার মানুষকে একত্রিত করেছে, যারা বিহারে সুশাসন চায় এবং পরিবর্তন চায়। আপাতত এঁদের নিয়েই কাজ করতে চান পিকে। শুধু তাই নয়, লালুপ্রসাদ যাদব এবং নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) গত ৩০ বছরের শাসনকালকে ঘুরিয়ে তোপও দেগেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, এই দুই নেতার ‘চেষ্টা’ সত্ত্বেও একদা দেশের সবচেয়ে গৌরবশালী রাজ্য বিহার আজ সবদিক থেকেই পিছিয়ে পড়েছে। অর্থাৎ রাজনৈতিক দল খোলার সবরকম ইঙ্গিতই এদিন দিয়ে দিয়েছেন পিকে। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নতুন দল তৈরির আগে জন্য জমি তৈরির জন্য কিছুটা সময় নিচ্ছেন ভোটকুশলী।
[আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়ায় অমিত শাহের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন না রাজ্যের কেউ! তুঙ্গে বিতর্ক]
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে পর্যন্ত প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে (Congress) যোগদান নিয়ে জোর জল্পনা ছিল। যদিও শেষপর্যন্ত সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে শেষপর্যন্ত বনিবনা হয়নি পিকের। তবে এদিনও প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, কংগ্রেস যে তাঁর মতামতকে এতটা গুরুত্ব দিয়েছে, তাতেই তিনি কৃতজ্ঞ।