সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশে ছিল বাংলা বাঁচানোর লড়াই। এবার মিশন দিল্লি। একমাসের ছুটি কাটিয়ে ফের তৃণমূলের হয়ে আসরে নামার অপেক্ষায় প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (Indian Political Action Committee) বা আই-প্যাক।
যদিও, এখন আর এই সংস্থার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত নন পিকে (Prashant Kishor)। গত ২ মে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই পিকে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, আই-প্যাকের সঙ্গে আর সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকতে চান না তিনি। তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার যুক্তি ছিল, “আই প্যাকে আমি ছাড়াও আরও অনেকে কঠোর পরিশ্রম করেন। আর সুনাম শুধু আমার হয়। তাই সময় এসেছে নিজে পিছিয়ে এসে অন্যদের এগিয়ে দেওয়ার।” যদিও তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট নয়, তিনি পুরোপুরি I-PAC ছাড়বেন, নাকি আড়ালে থেকে পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করবেন। তবে, পিকে থাকুন বা না থাকুন, I-PAC আগের মতোই কাজ চালিয়ে যাবে।
[আরও পড়ুন: একুশের ভোটে একতরফা জোট গঠন সিপিএমের, প্রতিবাদে বামফ্রন্ট ভাঙার দাবি ফরওয়ার্ড ব্লকের]
২ মে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্যের পরই আই প্যাকের কর্মীদের এক মাসের সবেতন ছুটি দেওয়া হয়েছিল। যা চলতি সপ্তাহে শেষ হয়েছে। ফের মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে সংস্থার কর্মীরা। আপাতত তাঁরা নির্দেশের অপেক্ষায়। আই প্যাকের কর্মীদের ধারণা, শনিবার তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকের পরই স্পষ্ট হয়ে যাবে, আগামী দিনে কোন রণকৌশলে এগোবে রাজ্যের শাসকদল। সেই মতোই কাজ করতে হবে তাঁদের। একুশের ভোটে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত করতে বাংলার প্রতিটি কোণে গিয়ে আই প্যাকের প্রায় ৫০০ কর্মী দিনরাত কাজ করেছেন। সেটাও প্রায় ২ বছর ধরে। শাসকদলের সাফল্যের নেপথ্যে অনেকাংশে প্রশান্ত কিশোরের অধীনে কাজ করা এই কর্মীদের হাত রয়েছে বলে মনে করেন রাজনীতির কারবারিরা।
[আরও পড়ুন: ‘বৈঠকে ছিলাম, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বেরিয়ে আসি’, কলাইকুন্ডা নিয়ে শোকজের জবাব আলাপনের]
সূত্রের খবর, ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির ধারণা ২০১৯ সালে যেভাবে বাংলা দখলের অ্যাসাইনমেন্ট তাঁদের দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই ২৪-এ দিল্লি দখলের দায়িত্ব পাবেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে, রাজ্যজুড়ে তাঁদের নামতে হবে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে। কারণ, একুশে তৃণমূলের (TMC) কর্মসূচিগুলি মূলত বাঙালি আবেগকে কাজে লাগিয়ে কার্যকর করিয়েছিলেন পিকে। এবারে শুধু সেই মন্ত্রে কাজ হবে না। সেক্ষেত্রে নতুন রণকৌশলে ঘুঁটি সাজাতে হবে বলেই মনে করছেন আই-প্যাক কর্মীরা। আপাতত তাঁরা কার কোথায় পোস্টিং হচ্ছে সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন। দায়িত্ব পেলেই ফের ‘মিশন দিল্লি’ নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বেন।