সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোম কাণ্ডে নয়া মোড়। যোগীর রাজ্যের সরকারি হোম থেকে নিখোঁজ হয়ে গেলেন ২৬ জন মহিলা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাহাবাদ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের প্রতাপগড়ে। জানা গিয়েছে, দেওরিয়ার হোম কাণ্ড সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সরকারি ও বেসরকারি হোমগুলিতে আসলে কি চলছে ,তা দেখতেই তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। প্রত্যেক তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন জেলাশাসকরা। জেলাশাসকদের নেতৃত্বেই এলাকার হোমে অভিযান চালনোর সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার প্রতাপগড়ের জেলাশাসক শম্ভু কুমারের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত দুটি হোমে অভিযান চলে। তাতেই জানা যায়, হোমের হাজিরা খাতায় নাম থাকলেও বেশিরভাগ মহিলাদের দেখা মেলেনি। তাঁরা কোথায় আছেন, তা নিয়েও নির্ভরযোগ্য কোনও তথ্য দিতে পারেননি হোমের দায়িত্বে থাকা মহিলারা। এরপরেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।
[ফের সম্মান রক্ষার বলি, বাবার নির্দেশে আদালত চত্বরে খুন তরুণী]
অচলপুরের হোমে প্রথম তল্লাশিতে যান শম্ভু কুমার। সেখানকার হাজিরা খাতায় ১৫ জন মহিলার নাম রয়েছে। কিন্তু সেই সময় হোমে উপস্থিত ছিলেন মাত্র তিনজন। বাকিদের অবস্থান জানতে চাইলে হোমের সুপার নেহা প্রবীণের সাফাই, যে যাঁর কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন। বলা বাহুল্য, শুধু মহিলাদের সংখ্যায় গড়মিল রয়েছে তাই নয়, হোমের খরচাপাতি সম্পর্কেও কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। এমনকী, নিরাপত্তার কারণে গোটা হোম চত্বরের কোথাও কোনও নজরদারি ক্যামেরাও নেই। এরপরে অষ্টভূজা নগরের একটি হোমে আধিকারিকদের নিয়ে অভিযানে যান শম্ভু কুমার। স্বধর জাগৃতী গৃহ নামের ওই হোমটিতে মোট ১৭ জন মহিলার নাম রয়েছে। এখানে খাতায় কলমে ১৭ জন থাকলেও ১৪ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। হোমের ম্যানেজার রমা মিশ্রের দাবি, বাকি ১৪ জন মহিলা নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছেন। এরপরেই হাজিরা খাতার নাম ধরে ধরে প্রত্যেকের পৃথক নথি ও ছবি দেখতে চান জেলাশাসক। যদিও তার কোনওটিই দেখাতে পারেননি হোম কর্তৃপক্ষ।
[রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদে জয়ী এনডিএ প্রার্থী হরিবংশ নারায়ণ সিং]
এই অভিযানের পর তদন্তকারী কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ওই দুটি হোমের পরিচালনা ও নথিপত্রে গলদ রয়েছে। সবকিছু তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুটি হোমের হাজিরা খাতায় নাম থাকা বাকি ২৬ জন মহিলার হদিশ নেই। তাঁরা কে কী কাজ করেন তা জানার চেষ্টা চলছে। ফের সংশ্লিষ্ট হোম দুটিতে অভিযান চালানো হবে। অভিযানের সময় এবারের অনুপস্থিত মহিলারাও হোমে থাকবেন। যদি এই নির্দেশের কোনওরকম হেরফের হয়, তাহলে দুটি হোমকেই তার জবাব দিতে হবে। এমনকী, হোম চালানোর লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে। আইনি জটিলতায় ফাঁসতে পারে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুটি। আগে দেওরিয়ার হোম থেকে ২৪ জন কিশোরীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা। এবার প্রতাপগড়ে ২৬ জন মহিলার কোনও হদিশ নেই। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।
The post দেওরিয়ার পর প্রতাপগড়, উত্তরপ্রদেশে হোম থেকে নিখোঁজ ২৬ জন মহিলা appeared first on Sangbad Pratidin.