অর্ণব আইচ: অতিমারী আবহে আপাতত বন্ধ শহর কলকাতা তথা রাজ্যের সমস্ত জাদুঘর। কিন্তু তাতেও স্বস্তি নেই। এর মধ্যেই আমহার্স্ট স্ট্রিটের রাজা রামমোহন রায় মিউজিয়াম থেকে চুরি গেল অতি মূল্যবান, দুষ্প্রাপ্য সব সামগ্রী। ঘটনায় শনিবার একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৩ মে রাতের দিকে ঘটনাটি ঘটে। রাজা রামমোহন রায় মিউজিয়ামের (Raja Rammohan Roy Museum) পিছনের দিকের পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে চোরেরা। একেই করোনা মহামারীর জেরে কড়া বিধিনিষেধে রাস্তাঘাট থমথমে, তার উপর অঝোরে বৃষ্টি। শুধু তাই নয়, নিষেধাজ্ঞার জেরে সেখানে কোনও নিরাপত্তারক্ষীও ছিল না। ফলে সবমিলিয়ে চুরি করা আরও সহজ হয়ে উঠেছিল তাদের জন্য। দক্ষ হাতে প্রথমে দরজার স্ত্রু খুলে ফেলে তারা। তাতেই উন্মুক্ত হয়ে যায় মিউজিয়ামের প্রবেশদ্বার। ব্যাস, নিস্তব্ধ, ফাঁকা জাদুঘর থেকে একটার পর একটা দুষ্প্রাপ্য জিনিস চুরি করতে থাকে তারা।
[আরও পড়ুন: ‘ব্যর্থতার দায় শীর্ষনেতাদের’, দলের বিরুদ্ধে সুর চড়ানো তন্ময়ের ‘মুখ বন্ধ’ করল সিপিএম]
পুলিশ জানিয়েছে, মূলত পিতলের বিরাট বড় বড় (অন্তত ৪ ফুট উচ্চতার) ছিটকিনি, কড়া চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছিল তারা। এরকম বেশ কিছু পিতলের সামগ্রী নিজেদের ঝুলিতে ভরে চম্পট দেয়। তবে সৌভগ্যবশত রামমোহনের জামাকাপড়, খাতা-কলমের দিকে নজর যায়নি তাদের। চুরির বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরেই খবর দেয় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় (Amherst Street Police Station)। তারপরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশের ধারণা ছিল কাছাকাছি কোনও বাজারেই চুরি করা সামগ্রী বিক্রির চেষ্টা করবে অভিযুক্তরা। সেই মতো বেনিয়াটোলায় সাধারণ পোশাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। সেখানেই সঞ্জয় জয়সওয়াল নামের এক ব্যক্তির খোঁজ মেলে। যে দুর্মূল্য বল, চেন, দরজার হ্যান্ডেল, ছিটকিনির মতো বেশ কিছু সামগ্রী কিনেছিল। তার কাছ থেকেই সেসব দুর্মূল্য জিনিস উদ্ধার করা হয়। শনিবার গ্রেপ্তারির পর এদিনই তাকে আদালতে তোলা হতে পারে বলে খবর। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই চোরেদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ।