সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। সেই দিনেই পৃথিবীর আলো দেখুক সন্তানরা। চিকিৎসকদের কাছে এসে সটান এই আর্জি জানাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) অন্তঃসত্ত্বারা। হবু মায়েদের আবদার, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনই জন্ম নিক তাঁদের সন্তানরাও। একদিনে এতগুলো সিজার ডেলিভারি করতে গিয়ে একেবারে নাজেহাল দশা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও। সেই সঙ্গে তাঁদের চিন্তা, বিশেষ দিনে সন্তানের জন্ম দিতে গেলে মা বা সদ্যোজাতের না কোনও সমস্যা দেখা দেয়।
কানপুরের মেডিক্যাল কলেজে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সীমা দ্বিবেদী জানান, একই লেবার রুমে অন্তত ১৪টি ডেলিভারি করার আবেদন জমা পড়েছে। আপাতত ওই মেডিক্যাল কলেজে একইদিনে ৩৫টি সিজার ডেলিভারির ব্যবস্থা করা গিয়েছে বলে খবর। তবে তাতেও কুলোতে পারছে না হাসপাতালগুলো। কারণ প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে ২২ জানুয়ারি ডেলিভারি করাতে চাওয়া অন্তঃসত্ত্বাদের সংখ্যা।
[আরও পড়ুন: বিহারে ইন্ডিয়া জোটের আসন বণ্টনে রফা! ১৭ আসনে লড়বে নীতীশের দল, কটিতে কংগ্রেস?]
অনেকেই আবার চাইছেন, ২২ তারিখ যদি নাও হয় তাহলে সাতদিনব্যাপী প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের মধ্যে যেকোনও একদিন জন্ম নিক তাঁদের সন্তান। সেক্ষেত্রে পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলে নির্দিষ্ট একটি মুহূর্তের ফরমায়েশ করছেন। ওই সময়েই নিজের সন্তানের মুখ দেখতে চাইছেন তাঁরা। ফলে সমস্যায় পড়ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই দিনে একসঙ্গে এতগুলো ডেলিভারি করানো সম্ভব কিনা, সেটা ভেবে চিন্তায় পড়ছেন তাঁরা।
সীমা জানাচ্ছেন, “হবু মায়েরা মনে করছেন, রাম আসলে বীরত্ব ও আনুগত্যের প্রতীক। তাঁদের সন্তানরা যদি ওইদিন জন্মায় তাহলে সদ্যোজাতদের মধ্যেও এই গুণগুলো থাকবে। কিন্তু এরকম দিন মেনে ডেলিভারি করানোর ক্ষেত্রে অনেক সময়ই ঝুঁকি থাকে। হয়তো ওই দিনে ডেলিভারি করালে মা ও সন্তান দুজনেরই ক্ষতি হতে পারে।” কিন্তু কোনও যুক্তিই মানতে চায় না হবু মা ও তাঁর পরিবার, মত সীমার।