সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রথম সারির তদন্তকারী সংস্থাগুলির উপর সাধ্যাতিত চাপ দেওয়া হচ্ছে। যদিও তাদের কেবল সেই মামলাগুলির তদন্ত করা উচিত, যা জাতীয় নিরাপত্তা এবং দেশবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংযুক্ত। সিবিআইয়ের (CBI) প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে এই বার্তা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। ওই অনুষ্ঠানে নিজের ভাষণে তিনি আরও বলেন, যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে প্রযুক্তিগত কঠিন সব চ্যালেঞ্জ মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে। উল্লেখ্য, কংগ্রেস-তৃণমূল-আপের মতো বিরোধী দলগুলির অভিযোগ মোদি সরকার সিবিআই-ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তসংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে ব্যবহার করছে। এই অবস্থায় প্রধান বিচারপতির মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমবার সিবিআইয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসে ২০তম ডিপি কোহলি স্মৃতি বক্তৃতা দেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সেখানে তিনি বলেন, সিবিআইকে ক্রমবর্ধমানভাবে দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারী সংস্থা হিসাবে তার ভূমিকার বাইরে বিভিন্ন ধরণের ফৌজদারি মামলাগুলি খতিয়ে দেখতে বলা হচ্ছে। বিরাট দায়িত্ব দেওয়া থাকে সিবিআইয়ের উপর। এর পরেই তিনি বলেন, প্রথমসারির তদন্তকারী সংস্থাগুলির উপর বিপুল পরিমাণ চাপ দেওয়া হচ্ছে। যদিও জাতীয় নিরাপত্তা, দেশবিরোধী বড় অর্থনৈতিক অপরাধের মতো মামলাগুলিই তাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
[আরও পড়ুন: ‘সত্যিটা জানা উচিত জনগণের’, শ্রীলঙ্কাকে দ্বীপ ‘উপহার’ নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ জয়শংকরের]
উল্লেখ্য, ভোটের মুখে জমি দুর্নীতি মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। পশ্চিমবঙ্গেও নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে ইডি এবং সিবিআই। গোটা ভারতে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে রয়েছে অসংখ্য মামলা। এর মধ্যে বহু মামলা দীর্ঘদিন ধরে চললেও সমাধান হয়নি।
এদিকে রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে হেমন্ত ও কেজিরওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সরব হয় ইন্ডিয়া জোট। সেখানে ঘুরেফিরে এসেছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহারের অভিযোগ। এই অবস্থায় ভোটের আবহে প্রধান বিচারপতির মন্তব্যে ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে শাসক ও বিরোধী দুই পক্ষ।