সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডি.লিট দিতে চলেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। ১১ সেপ্টেম্বর তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিনেতাও এই সম্মান নিতে কোনওরকম দ্বিধা করেননি। সাগ্রহে আবেদনে সাড়া দিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ডি.লিট দেওয়া হবে। ওই অনুষ্ঠানে পিএইচডি স্কলারদেরও সম্মান জানানো হবে।
[ বিয়ের পরই ফের হলিউডের পথে ‘ডিম্পল গার্ল’ দীপিকা! ]
বাংলা ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদানের কথা মাথায় রেখেই তাঁকে এই সম্মান জানানো হচ্ছে। সেই সত্যজিৎ রায়ের আমল থেকে বাংলা সিনেমার দর্শককে একের পর এক ভাল ছবির উপহার দিয়ে আসছেন সৌমিত্র। ব্যর্থ প্রেমিক হিসেবে যেমন তিনি সফল, তেমনই সফল দুঁদে গোয়েন্দা হিসেবেও। কিন্তু ‘দেবদাস’-এর সৌমিত্রকে ‘সোনার কেল্লা’-র সৌমিত্রর মধ্যে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তেমনই ‘ঝিন্দের বন্দি’-র ময়ূরবাহনের সঙ্গেও কোথাও মিল নেই ‘হীরক রাজার দেশে’-র উদয়ন পণ্ডিতের। মানিকবাবুর পরিচালনায় ‘অশনি সংকেত’, ‘ঘরে বাইরে’, ‘অপুর সংসার’, ‘চারুলতা’-র মতো ছবি যেমন করেছেন, অন্য পরিচালকের ছবিতেও অভিনয় করেছেন চুটিয়ে। তার প্রমাণ ‘নিশিযাপন’, ‘বাঘিনী’, ‘তিন ভুবনের পারে’-র মতো অনেক ছবি। অভিনয়ের পাশাপাশি থিয়েটার অভিনেতা ও বাচিকশিল্পী হিসেবেও তিনি বিখ্যাত।
কর্মজীবনে মোট তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন সৌমিত্র। ১৯৯১ সালে ‘অন্তর্ধান’ ছবির জন্য তিনি স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড পান। ২০০০ সালে ‘দেখা’ ছবির জন্যও পান স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড। ২০০৭ সালে ফের সেরা অভিনেতা হিসেবে ‘পদক্ষেপ’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পান। ২০০৪ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে ভারত সরকার। ২০১২ সালে তিনি পান ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে বড় সম্মান দাদাসাহেব ফালকে। শুধু দেশে নয়। বিদেশেও বহুবার সম্মানিত হয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ২০১৭ সালে ফ্রান্স সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘লিজিওন অফ অনার’-এ ভূষিত করে।
[ ৯২-এ মহানায়ক, বাঙালির মননে আজও অমলিন উত্তমকুমার ]
The post সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডি.লিট দিচ্ছে প্রেসিডেন্সি appeared first on Sangbad Pratidin.