সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে ‘অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো’। অন্ধকার তো একটা দশামাত্র। তা তো কোনও বাধাই নয়। বিশেষত মনের আলো, ভাষার আলো যেখানে এত উজ্জ্বল। সেটাই ফের বুঝিয়ে দিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। ওড়িশার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় আচমকাই বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। গোটা ঘর অন্ধকারে ডুবে যায়। কিন্তু তাতে এতটুকু বিচলিত না হয়ে নিজের ভাষণ চালিয়ে গেলেন তিনি। তাও টানা ৯ মিনিট! রাষ্ট্রপতিকে এভাবে দেখে মুগ্ধ ছাত্রছাত্রীরা। তবে রাষ্ট্রপতির সফরের মাঝে এহেন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে যথেষ্ট সমালোচিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দুপুরে ছিল ওড়িশার (Odissa) বারিপদার মহারাজা শ্রীরাম চন্দ্র ভঞ্জ দেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে তাঁর বক্তৃতা চলছিল। ১১টা ৫৬ মিনিট নাগাদ অডিটোরিয়ামটি সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে যায়। বোঝা যায়, বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে। কিন্তু তাতেও বক্তৃতা থামাননি রাষ্ট্রপতি। বরং ভাষণের মাঝে বলেন, অন্ধকারেও এই বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দর! টানা ৯ মিনিট অন্ধকারেই নিজের বক্তব্য পেশ করেন দ্রৌপদী মুর্মু। এত সুন্দরভাবে নিজের অসন্তোষ গোপন করে রাখাটা শেখার বিষয় বইকী!
[আরও পড়ুন: লজ্জার রেকর্ড রোহিতের, ধোনির চেন্নাইয়ের সামনে ধরাশায়ী মুম্বই]
তবে এহেন বিভ্রাটের জন্য যথেষ্ট সমালোচিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় (University) কর্তৃপক্ষ। ৯ মিনিট ধরে জেনারেটরের ব্যবস্থা করেও কোনও লাভ হয়নি। কিন্তু কেন এমনটা হল? বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগের দায়িত্বে থাকা TPNODL-এর সিইও ভাস্কর সরকার বলেন, ”অডিটোরিয়ামের বিদ্যুতের সার্কিট থেকেই সমস্যাটা হয়েছিল। ইন্টারনাল কানেকশন কেটে গিয়েছে। এতে আমাদের কিছু করার ছিল না।” বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সন্তোষ ত্রিপাঠির কথায়, ”আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। এই বিল্ডিংটা নতুন তৈরি হয়েছে এবং বিদ্যুতের কাজ করেছে TPNODL। ওরা জেনারেটরের ব্যবস্থাও করেছিলেন। কিন্তু তা যে কাজ করে না, সেটা আমরা বুঝতেই পারিনি।” রাজ্যের প্রাক্তন ডিজিপি বলছেন, ”আগে কখনও দেখিনি, প্রেসিডেন্টের অনুষ্ঠান যে এমন অন্ধকারে চলছে।” এক প্রাক্তনীর কথায়, এতক্ষণ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম অন্ধকারে ডুবে থাকাটা প্রেসিডেন্টের পক্ষে অপমানজনক।