সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তার তারপর থেকেই নেতাজিকে নিয়ে আলোচনায় অদ্ভুতভাবে ঢুকে পড়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। টলিউডের সুপারস্টারের কথাই হচ্ছে।
কিন্তু পরেশ মাইতির হাতে আঁকা নেতাজির ছবির সঙ্গে টলিপাড়ার অভিনেতার সম্পর্ক কী? আসলে যে ছবিটি এদিন রাষ্ট্রপতি উন্মোচন করেন, নেটিজেনদের অনেকেরই মতে তার আদল ‘গুমনামী’ ছবিতে প্রসেনজিতের লুকের সঙ্গে অনেকখানিই মিলে গিয়েছে। বিশেষ করে তার চাহনি ও ঠোঁটের অংশটিতে বেশি সামঞ্জস্য খুঁজে পাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় বসবাসকারী বাসিন্দারা। কেউ কেউ আবার মজা করে প্রশ্ন তুলেছেন, “নেতাজির ছবির বদলে নেতাজিরূপী প্রসেনজিতের ছবি উদ্বোধন করেননি কোবিন্দ?”
[আরও পড়ুন: বাংলার মেয়েদের ধর্ষণের হুমকির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন সায়নী-নুসরত-দেবলীনারা]
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘গুমনামী’ ছবিতে সুভাষচন্দ্রের নানা বয়সের ঘটনা ফুটে উঠেছিল। আর প্রতিটিতেই নজর কেড়েছিলেন প্রসেনজিৎ। এদিন ছবি উন্মোচনের পর তাই নতুন করে গুমনামীর কথা উঠে আসায় এ প্রসঙ্গ নিয়ে টুইট করেন খোদ পরিচালক। লেখেন, “রাষ্ট্রপতি ভবনে উন্মোচিত ছবিটি পরেশ মাইতির আঁকা। যদি এর সঙ্গে প্রসেনজিতের কোনও মিল খুঁজে পেয়ে থাকেন, তাহলে তার সমস্ত কৃতিত্ব প্রাপ্য সোমনাথ কুণ্ডুর।” কে এই ব্যক্তি? তাও খোলসা করেন সৃজিত। জানান, সোমনাথ কুণ্ডু হলেন ‘গুমনামী’ ছবির মেক-আপ আর্টিস্ট। তিনিই প্রসেনজিৎকে নেতাজির আদলে সাজিয়ে তুলেছিলেন। তাঁর হাতের ছোঁয়াতেই প্রসেনজিতের মধ্যে দর্শকরা সুভাষকে খুঁজে পেয়েছিলেন। সৃজিতের ‘ধনঞ্জয়’, ‘জুলফিকর’, ‘এক যে ছিল রাজা’, ‘ভিঞ্চি দা’র মতো ছবিতেও কলাকুশলীদের মেক-আপ করানোর দায়িত্বে ছিলেন সোমনাথই।
নেতাজির লুকের রহস্যভেদের আলোচনায় শামিল হয়েছিলেন খোদ প্রসেনজিৎও। এদিনের উন্মোচিত ছবিটি পোস্ট করে লেখেন, “পরেশ মাইতিকে অভিনন্দন জানাই। অনেকেই ছবিটির সঙ্গে গুমনামী সিনেমায় আমার লুকের মিল খুঁজে পেয়েছেন। আমার মেক-আপ করেছিল সোমনাথ।”
[আরও পড়ুন: ‘রেপের হুমকি দিচ্ছে, এত সাহস!’, সায়নী-দেবলীনা ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে রণংদেহি মমতা]
এদিকে আবার আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে নেতাজির পরিবারের তরফে চন্দ্র বসু জানান, “রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ নেতাজির যে ছবিটি উন্মোচন করেছেন, তা নেতাজির আসল ছবিকে সামনে রেখেই আঁকা। এখানে শিল্পীর নিজস্ব ভাবনাও রয়েছে।” এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ, অনেকে বলছেন, “যাক, রাইসিনা হিলের নেতাজির ছবি যে প্রসেনজিতের নয়, এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেল।”