সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ জুলাই শেষ হচ্ছে মেয়াদ। তারপরেই ছাড়তে হবে রাইসিনা হিলস। প্রাক্তন হওয়ার পর কোথায় থাকবেন রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind), তা নিয়ে জল্পনা ছিল। কয়েকদিন আগে থেকেই কোবিন্দের জন্য জন্য বাসস্থান খোঁজার কাজ চলছিল। আপাতত সিদ্ধান্ত, ১২ নম্বর জনপথের বাংলোয় জায়গা হবে কোবিন্দের। প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের (Ram Vilas Paswan) নামেই বরাদ্দ ছিল ছিল এই বাংলোটি। তাঁর মৃত্যুর পর বাংলোটি ব্যবহার করতেন তাঁর ছেলে চিরাগ। সম্প্রতি তিনি বাংলোটি ছেড়ে দেন। সেখানেই মাথা গুঁজবেন কোবিন্দ।
দিল্লির ১০ নম্বর জনপথ। ঠিকানা সকলের জানা। গান্ধী পরিবারের জন্য চিরকাল বরাদ্দ থেকেছে এই বাংলোটি। অনতি দূরেই ১২ নম্বর জনপথ। এই বাড়িটিও বিখ্যাত প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের জন্য। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা সাংসদদের জন্য বাসস্থান বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয়বার মোদি মন্ত্রিসভা গঠনের পর জনপথ রোডের এই বাংলোটি প্রথমে রেল এবং কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর জন্য বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু বাংলো ছাড়তে রাজি হননি রামবিলাসের ছেলে চিরাগ। বারবার মন্ত্রকের তরফে নোটিস দিয়ে চিরাগকে বাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু পিতার স্মৃতিবিজরিত বাংলো ছাড়তে নারাজ ছিলেন চিরাগ।কার্যত জোর করেই তাঁকে ছাড়তে বাধ্য করা হয়। ততদিনে অবশ্য পৃথ্বীরাজ রোডে রেলমন্ত্রীর জন্য একটি বাংলো বরাদ্দ করা হয়। সেই বাড়িতেই থাকেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মধ্যরাতে চলন্ত গাড়িতে মহিলা ও তাঁর ৬ বছরের শিশুকে গণধর্ষণ, তদন্তে পুলিশ]
এদিকে, চিরাগ বাংলো ছেড়ে চলে যাওয়ায় তা ফাঁকাই পড়ে ছিল। মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, নতুন রাষ্ট্রপতি রাইসিনায় ঢোকার আগেই কোবিন্দের জন্য বাংলো বরাদ্দ করতে হবে। তখনই নজরে পড়ে প্রয়াত রামবিলাসের বাংলোটিতে। হাতে মাসখানেকও সময় নেই। তাই মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। রীতি অনুযায়ী প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিদের বিনামূল্যে বাড়ি, রক্ষণাবেক্ষণ, সচিবালয়ের কর্মীদের জন্য ভাতা দিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে নয়া সমীকরণের জল্পনা, রাজ ঠাকরের সঙ্গে ফোনে কথা একনাথ শিণ্ডের]
২৪ জুলাই মেয়াদ শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। তারপর থেকেই রামবিলাস পাসোয়ানের ১২, জনপথ রোডের বাড়িতে থাকবেন তিনি। এদিকে, রাইসিনা হিলসে কার স্থান হবে সেদিকেই এখন নজর দেশবাসীর।