সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী মাস থেকেই দেশজুড়ে বাড়তে চলেছে প্রায় ৮০০টি অত্যাবশকীয় ওষুধের (Essential Medicines) দাম। শুক্রবারই এই ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটি। নিঃসন্দেহে এই মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা আমজনতার চিন্তা বাড়াবে।
যে যে ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে তার মধ্যে রয়েছে জ্বর, সংক্রমণ, ত্বকের অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তাল্পতা ও হৃদরোগের ওষুধ। ২০২০ সালের তুলনায় পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচকে (WPI) ১০.৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।
শুক্রবার জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটির তরফে জানানো হয়েছে, ”বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের আর্থিক উপদেষ্টার দপ্তরের পেশ করা পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচক ২০২১ ক্যালেন্ডার ইয়ারে বার্ষিক ১০.৭৬৬০৭ শতাংশ বাড়ছে ২০২০ সালের তুলনায়। ড্রাগস (প্রাইস কন্ট্রোল) অর্ডার, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য এটি সংশ্লিষ্ট সকলের নজরে আনা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: আরও ৩ মাস বিনামূল্যে রেশন পাবে উত্তরপ্রদেশবাসী, দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েই বড় সিদ্ধান্ত যোগীর]
১ এপ্রিল থেকেই এই নতুন মূল্য কার্যকর হবে। জানা যাচ্ছে, এর ফলে প্যারাসিটামল, আজিথ্রোমাইসিন, ফেনোবার্বিটোন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন হাইড্রোক্লোরাইড, মেট্রোনিডাজোল, ফেনিটোইন সোডিয়ামের মতো অত্যাবশকীয় ড্রাগের দাম বাড়বে।
ওষুধের এই মূল্যবৃদ্ধিতে অস্বস্তিতে আমজনতা। এমনিতেই ভোট মিটতে ফের ঊর্ধ্বগামী জ্বালানির মূল্য। গত কয়েক দিনে লিটার প্রতি পেট্রল ও ডিজেলের দাম বেড়েছে লাফিয়ে। এই ধরনের মূল্যবৃদ্ধির ঠেলায় সাধারণ মানুষ এমনিতেই নাজেহাল। তার উপর যদি ওষুধের দামও এই হারে বাড়ে তাহলে সেটা সাধারণ মানুষের জন্য গোদের উপর বিষফোঁড়া হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। করোনা আবহে গত দু’বছরে চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। দেশের আর্থিক দুরবস্থায় চাকরির বাজারেও মন্দা। ফলে নিত্যনৈমিত্তিক জিনিসপত্র কিনতেই প্রবল অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এর মধ্যে ওষুধের দাম বাড়ার খবর সেই চিন্তা আরও বাড়াবে।