রাহুল রায়: দুর্গাপুজোর আগে টেট (Primary TET Scam) আন্দোলনকারীদের জন্য সুখবর। পুজোর আগেই আরও ৬৫ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ। এর আগে টেট-এর প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় ১৮৭ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার সেই তালিকায় যোগ হল আরও ৬৫ জন।
২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নির্ণায়ক পরীক্ষা বা টেটের প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্নে ভুল ছিল। এ নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। ২০২১ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদকে পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার পরই দেখা যায় বহু পরীক্ষার্থী টেটে পাশ করে গিয়েছেন। এবার তাঁদের নিয়োগের নির্দেশ দিল আদালত। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষাদপ্তরকে। আদালতের নির্দেশ, শূন্যপদ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যের স্কুল শিক্ষাদপ্তর। সেই পদে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট টেট উত্তীর্ণদের।
[আরও পড়ুন: দিলীপ-শুভেন্দুর উদ্দেশে তর্পণ, ‘জনপ্রিয়তা পেতে এসব করা হচ্ছে’, মদনের আচরণে ক্ষুব্ধ স্পিকার]
২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট (Primary TET) দিয়েছিলেন আরও ২৪ জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু ২০১৬ সালে ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় তাঁরা টেট পাশ করেননি। স্বাভাবিকভাবেই সেই সময় চাকরি পাননি তাঁরা। এর মধ্যে অন্য একটি মামলায় দেখা যায়, ভুল প্রশ্ন থাকায় চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বাড়াতে রাজি হয় পর্ষদ। তারপরই কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন এই ২৩ টেট পরীক্ষার্থী। এরপর ওই নম্বর দেওয়া যায় কিনা তা পর্ষদকে বিচার করতে বলে হাই কোর্ট। নিজেদের ভুল স্বীকার করে নম্বর বাড়িয়ে দেয় পর্ষদ।
ইতিপূর্বে পুজোর আগে ৯২৩ জন যোগ্যপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। কাউন্সেলিংয়ের দিনই গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র যোগ্যপ্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
[আরও পড়ুন: লাগাতার আন্দোলনের জের, SBSTC’র অস্থায়ী কর্মীদের দাবি পূরণের আশ্বাস পরিবহণমন্ত্রীর