রাহুল রায়: প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। শুধু প্রাক্তন সভাপতিরই নয়, সঙ্গে তাঁর স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ এবং মেয়ের (বিবাহ পর্যন্ত) সম্পত্তির হিসাবও হলফনামার আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে এই হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET Scam) মামলায় মঙ্গলবার দুপুর দু’টোর মধ্যে মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লাভ হয়নি। ফলে বিচারপতির নির্দেশমতো এদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাই কোর্টে হাজিরা দেন মানিক।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মানিকবাবু জানান, নদিয়ায় তাঁর পৈতৃক ভিটে রয়েছে। যাদবপুরে রয়েছে তাঁর দু’টি ফ্ল্যাট। পাশাপাশি নয়াবাদে জমিও রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নামে। তবে পরিবারের নামে কত সোনা রয়েছে, তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি।
[আরও পড়ুন: আনিস খান হত্যামামলার তদন্তে SIT’এর উপরই আস্থা রাখল কলকাতা হাই কোর্ট]
এদিন মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) জন্মস্থান থেকে পড়াশোনা, চাকরি জীবন সমস্ত বিষয় নিয়েই প্রশ্ন করেন বিচারপতি। জানতে চান তাঁর ছেলে-মেয়ের কর্মজীবন নিয়েও। জবাবে প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি জানান, “ছেলে CESC’র প্রাক্তন কর্মী। এম টেক করে বর্তমানে রাজ্য সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের প্রধান।” পাশাপাশি পর্ষদের দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশের কোনও বিধি রয়েছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়। জবাবে মানিকবাবু জানান, “প্রথমে প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিযুক্ত করা হয়, তারপর কোনও শূন্যপদ থাকলেও যোগ্যতা অনুযায়ী অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিযুক্ত করা হয়। তাই দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশের প্রয়োজন হয়।”
উল্লেখ্য, কাজে অসুবিধার কারণ দেখিয়ে এদিন পর্ষদ সভাপতিকে অপসারণের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই মামলার নিষ্পত্তি এদিন হয়নি।