রাহুল রায়: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary TET Scam) মামলায় মুখবন্ধ খামে দু’টি রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীদের দাবি, “ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। অকল্পনীয় দুর্নীতি হয়েছে। পরীক্ষাই দেননি অথচ নিয়োগপত্র পেয়েছেন।” সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) প্রতিক্রিয়া ‘বিস্ময়কর’।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০ জুন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে কিছু নথি কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) পেশ করা হয়েছিল। নথির বয়স জানতে দিল্লির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। এদিন সেই নথির ফরেনসিক এবং তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করা হয় আদালতে। এদিন সিবিআই জানিয়েছে, নথিগুলির বয়স সম্পর্কে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি দিল্লি ফরেনসিক ল্যাব। তবে তদন্ত সুনির্দিষ্ট পথে এগোচ্ছে এবং তদন্তে প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
[আরও পড়ুন: SSC Scam: পুজোর আগেই গ্রুপ সি ও ডি-তে ৯২৩ জনের নিয়োগ, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা জানিয়েছে, ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। অকল্পনীয় দুর্নীতি হয়েছে যা সাধারণ মানুষকে শিহরিত করে দেবে। পরীক্ষাই দেননি অথচ নিয়োগপত্র পেয়েছেন অনেকে।
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের ১০ জন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির নথি আগামী ১৭ অক্টোবর বিকেল চারটের সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখবেন মামলকারীর দুই আইনজীবী। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদের কাছে বিচারপতি জানতে চান, ২০১৬ এবং ২০২০ সালে প্রাথমিক টেটের নম্বর বিভাজন মেধাতালিকা কতদিনের মধ্যে প্রকাশ করা সম্ভব? ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই জবাব চেয়েছেন বিচারপতি। প্রাথমিক টেট দুর্নীতির মামলার পরবর্তী শুনানি পুজোর পর ৪ নভেম্বর। সেদিন তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত পরবর্তী রিপোর্ট পেশ করা হবে।