সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে হঠাৎ মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কংগ্রেস সংসদীয় দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন । সেই উপলক্ষেই এদিন সংসদ ভবনে উপস্থিত ছিলেন মোদি-সোনিয়া। লোকসভা চেম্বারে সামান্য কয়েকটা কথা হয়েছে দুই শীর্ষনেতার।
অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব সাংসদের সঙ্গেই কথা বলছিলেন। বিরোধী বেঞ্চে গিয়ে তিনি কথা বলেন সোনিয়ার সঙ্গেও। দু’দিন আগেই বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি ফেরার পথে খারাপ আবহাওয়ার সোনিয়ার বিমানের জরুরি অবতরণ হয়। কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিমানে। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সোনিয়ার সেই ছবিও পোস্ট করেন। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভানেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সোনিয়া অবশ্য সুযোগ বুঝে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মণিপুর নিয়ে আলোচনার আরজি জানান। এমনটাই দাবি করেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
[আরও পড়ুন: সাংসদ সংখ্যা শূন্য! তবু শক্তি প্রদর্শনে NDA বৈঠকে ডাক সেই ৮ শরিক দলকেও!]
তবে বাদল অধিবেশন শুরুর আগে সোনিয়ার সঙ্গে মোদির (Narendra Modi) এই সৌজন্য বিনিময়ও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বাদল অধিবেশনে এরপর আর শাসক ও বিরোধীর মধ্যে কোনওরকম সৌজন্য দেখা যাবে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তা, দিল্লি সংক্রান্ত অধ্যাদেশ থেকে শুরু করে মণিপুরের হিংসার মতো বিষয় নিয়ে উজ্জীবিত বিরোধীরা যে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে চেপে ধরবেন, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে মণিপুরের হিংসা নিয়ে বিরোধীরা বাদল অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করতে চলেছেন বলেই সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: খারাপ আবহাওয়া, ভোপালে জরুরি অবতরণ করল সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বিমান]
মণিপুর নিয়ে চাপের মুখে এদিন প্রধানমন্ত্রী মুখ খুলেছেন। কিন্তু সংসদের বাইরে তাঁর ওই হিংসার ‘নিন্দা’ করায় যে চিড়ে ভিজবে না, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই বিক্ষোভের জেরে মূলতুবি করে দিতে হয়েছে রাজ্যসভার অধিবেশন।