shono
Advertisement

মানুষের মাঝে মোদি! সাধারণ যাত্রীর মতোই মেট্রোতে সফর প্রধানমন্ত্রীর, দেখুন ভিডিও

মেট্রো চেপে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
Posted: 12:01 PM Jun 30, 2023Updated: 12:01 PM Jun 30, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্টেশন চত্বরে ঢুকলেন। কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটলেন। তারপর মেট্রোতে গিয়ে বসে পড়লেন। ট্রেন যখন চলছে তখনও তাঁকে দেখা গেল সহযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে, খোশগল্প করতে। ঠিক আর পাঁচজন সাধারণ যাত্রী যেমন করেন। এক লহমায় দেখে মনেই হবে না, ইনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এরকমই। চমক দিতে বরাবরই পছন্দ করেন তিনি। শুক্রবার সকালেও তেমনই চমক দিলেন মোদি।

Advertisement

শুক্রবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মতোই সেখানে যান মোদি। কিন্তু নিজের ভিভিআইপি গাড়ির কনভয় নিয়ে নয়, মোদি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান সাধারণ যাত্রীদের মতো মেট্রোয় চেপে। সহযাত্রীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। মোদি অবশ্য এর আগেও মেট্রোয় চেপেছেন। তবে এর আগে যতবার তাঁকে মেট্রোতে দেখা গিয়েছে, প্রতিবারই ছিল সেই মেট্রোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। কর্মব্যস্ত দিনে এভাবে হঠাৎ কোনও মেট্রোতে উঠে পড়তে প্রধানমন্ত্রীকে দেখা যায়নি।

[আরও পড়ুন: কপ্টার দুর্ঘটনার ধাক্কা সামলে কেমন আছেন? প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী]

উল্লেখ্য, শুক্রবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেবেন মোদি। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেওয়ার আগে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও আলাদা করে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। তবে মোদির এই সফর ঘিরে বিক্ষোভের একটা আশঙ্কা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। যা রুখতে একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পড়ুয়াদের কালো কাপড় নিয়ে আসা নিষেধ। এমনকী কালো জামাকাপড়ও পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: নিজের লম্বা চুল কেটে দান, ক্যানসার আক্রান্তদের পাশে থেকে প্রশংসা কুড়োচ্ছেন হুগলির ছাত্রী]

ইতিমধ্যেই মোদির (Narendra Modi) অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি সংগঠন।কংগ্রেস সমর্থিত শিক্ষক সংগঠনটির দাবি, গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুরের পরিস্থিতি তপ্ত। বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। কিন্তু, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে। তিনি সম্পূর্ণ নীরব। মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রতিবাদেই এই বয়কটের সিদ্ধান্ত বলে আইএনটিইউসি’র তরফে দাবি করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement