অর্ণব আইচ: অসুস্থ বলে জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিচারাধীন বন্দিকে। আর সেই সুযোগেই নিরাপত্তাবলয় কার্যত ভেদ করে চম্পট দিল বন্দি। এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পলাতক মহম্মদ সাজিদ নামে এক বিচারাধীন বন্দি। তার খোঁজে জোরকদমে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। গত বছর একবালপুরে এক মহিলাকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিল মহম্মদ সাজিদ।
প্রেসিডেন্সি জেল (Presidency Jail) সূত্রে খবর, সোমবার সকাল থেকে অসুস্থতার কথা বলে মহম্মদ সাজিদ। পেট ব্যথা হচ্ছিল তার। দুপুরের দিকে তাকে জেল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। বিকেলের দিকে খবর মেলে, হাসপাতালের নিরাপত্তার বেড়াজাল কেটে চম্পট দিয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই খোঁজ খোঁজ রব শুরু হয়ে যায়। পরে জানা যায় গোটা বিষয়টি। প্রেসিডেন্সি জেলের ৬ জন বন্দি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের সবাইকে এসএসকেএম হাসপাতালের আউটডোরে পরীক্ষা করাতে নিয়ে যান ৬ জন নিরাপত্তারক্ষী। এরপর সেখানে পরীক্ষা করানোর পর প্রমাণ স্বরূপ একটি কাগজ নিতে হয়। অন্যরা কাগজটি নিলেও সাজিদ তা নেয়নি। এরপর আউটডোর থেকে বেরনোর সময় সে জানায় যে ওই কাগজটি নিতে ভুলে গিয়েছে। তা শুনে নিরাপত্তারক্ষী তা আনতে যান। সেই ফাঁক গলেই পালায় সাজিদ।
[আরও পড়ুন: ‘চিঠির উত্তরে চিঠি দিয়েছি, এটাই দস্তুর’, আলাপন ইস্যুতে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে একবালপুরে এক মহিলার খুনের (Murder) ঘটনা ঘটে। রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় তাঁর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার তিনদিন পরই মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার হয় মহম্মদ সাজিদ। তারপর থেকে সে বন্দি ছিল প্রেসিডেন্সি জেলে। বিষয়টি নিয়ে আদালতের মামলা চলছে। ফলে আপাতত বিচারাধীন বন্দি ছিল একবালপুরের এই বাসিন্দা। প্রায় মাস ছয়েক জেলে থাকার পর সোমবার এসএসকেএমে শারীরিক পরীক্ষা করাতে গিয়ে চম্পট দিল। সরকারি হাসপাতালের নজর এড়িয়ে কীভাবে পালিয়ে গেল এক বিচারাধীন বন্দি, এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।