সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মধ্যে নয়া অস্বস্তি কংগ্রেসের। বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন দলের মহিলা নেত্রী তথা সর্বভারতীয় মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। কংগ্রেস নেত্রীর অভিযোগ, দলের একাংশের হস্তক্ষেপে মহিলাদের হেনস্তাকারীরা দলে বেশি সুযোগ পাচ্ছেন। যারা সারাবছর মাটি কামড়ে পড়ে থেকে পরিশ্রম করেছে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছে। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর এই অভিযোগের পরই তোলপাড় শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। ভোটের মুখে একজন মহিলা নেত্রীর এই অভিযোগ দলের ভাবমূর্তিকে ধাক্কা দেবে বলেও মনে করছেন অনেকে।
[আরও পড়ুন: ‘চৌকিদার ফেল হ্যায়’, নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচা ওমর আবদুল্লার]
কিছুদিন আগেই প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী অভিযোগ করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশের কিছু নেতা তাঁকে হেনস্তা করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করে কংগ্রেস। দলের অভ্যন্তরের করা সেই তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযুক্ত নেতাদের সাসপেন্ডও করা হয়। এই সাসপেনশন তখনকার মতো ঝড় থামিয়ে দিয়েছিল। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও যথারীতি দলের কাজকর্ম করছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘১০০ বার স্নান করলেও মোষের মতো দেখাবে’, কুমারস্বামীকে কটাক্ষ বিজেপি নেতার]
কিন্তু চাপা পড়া সেই বিতর্ক নতুন করে উসকে গেল ভোটের মুখে। আসলে, যে সমস্ত নেতাদের হেনস্তার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তাঁরা উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সংগঠনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। আর তা আঁচ করতে পেরে ভোটের মুখে তাদের আবার দলে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনিই উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে আছেন। সিন্ধিয়ার এই সিদ্ধান্তে প্রবল খেপেছেন প্রিয়াঙ্কা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, যে দলের অভ্যন্তরেই মেয়েদের সম্মান নেই, তাঁরা ভোটে জিতলে মহিলাদের সম্মান রক্ষা করবে কী করে?