সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মতোই সাতটি দফায় ভোট হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে। রয়েছে উপনির্বাচনও। এই পরিস্থিতিতে মোদির মন্তব্য ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পালটা মন্তব্য ঘিরে ভোটের পারদ আরও চড়ল যোগীরাজ্যে। মোদি (PM Modi) বলেছিলেন, উত্তরপ্রদেশ থেকে মুছে যেতে চলেছে কংগ্রেস। যার জবাবে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার 'জবাব', ''উনি কি জ্যোতিষী?''
মঙ্গলবার এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ''আমরা এগিয়ে চলেছি ৪০০ আসনের লক্ষ্যে। অন্যদিকে কংগ্রেস কোনও ছাপই রাখতে পারবে না। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মানুষ 'পরিবারবাদ'কে আর গ্রহণ করতে রাজি নন। তাছাড়া তাঁদের সামনে রয়েছে একটি বিকল্প মডেল, যেটা মানুষের জীবনযাপনের ধারাই বদলে দিয়েছে।''
[আরও পড়ুন: ‘মানবিকতা সংকটে, বন্ধ হোক এ রক্তের হোলি’, রাষ্ট্রসংঘে প্যালেস্টাইনের পাশে ভারত]
এদিনই এর পালটা দিয়েছেন কংগ্রেস (Congress) নেত্রী। এক সংবাদমাধ্যমের তরফে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ''আমি তো জ্যোতিষী নই। উনি যদি হন, আমাকে জানাবেন।'' পাশাপাশি ভোটারদের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, ''প্রথমত, আপনারা দেখুন তো যে রাজ্যগুলোতে বিজেপি আছে সেখানে কী হচ্ছে। আবার আমাদের সরকার যে সব রাজ্যে রয়েছে, সেখানেই বা কী হচ্ছে। আর সেই সব দিক বিচার করে তবেই আপনারা ভোট দিন। যারা সংবিধান বদলে দেবে বলছে, তাদের হাত থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করাটা একান্তই দরকার।''
সেই সঙ্গেই রায়বরেলি ও আমেঠি কেন্দ্রে কংগ্রেসের সম্ভাবনা নিয়েও যথারীতি আশাবাদীই দেখিয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে (Priyanka Gandhi)। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, ''আমেঠি ও রায়বরেলির মানুষের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত এবং রাজনীতির ঊর্ধ্বে। প্রতিটি সভাতেই সেই অনুভবে আমাদের হৃদয় ভরে গিয়েছে।'' সেই সঙ্গে স্মৃতি ইরানিকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি প্রিয়াঙ্কা। তাঁর প্রশ্ন, ''স্মৃতি ইরানি এখানে কোন উদ্দেশ্যে আসেন?ওঁর একটাই এজেন্ডা। রাজনৈতিক লাভ। নাহলে এখানকার সঙ্গে ওঁর কতটুকু সংযোগ? এখানকার মানুষের সঙ্গে সত্যিকারের বন্ধন তৈরি করতে চল্লিশ বছর লেগে যাবে ওঁদের। আরও পরিশ্রম করতে হবে।''