সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাবেরী জলবণ্টন নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। তামিলনাড়ুকে জল ছাড়ার প্রতিবাদে ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা অবধি বনধের ডাক দিয়েছে কর্নাটকের কৃষক সংগঠন এবং কন্নড়পন্থী একাধিক গোষ্ঠী। এদিনের বনধে কার্যত স্তব্ধ বেঙ্গালুরুর পথঘাট।
আজ রাজ্যজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছে দোকানপাট, বড় বড় মল, হোটেল, রেস্তরাঁ, সিনেমা হল। চাকা গড়াচ্ছে না বাস, অ্যাপ ক্যাব, ট্যাক্সি, রিকসা, বেসরকারি গণ পরিবহণের। স্থানীয় পরিবহণ সংস্থাগুলো সমর্থন জানিয়েছে বনধে। তবে সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে ছাড় দেওয়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে। যেমন খোলা রাখা হয়েছে, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান সরকারি দপ্তর, দুধের দোকান, পেট্রোল পাম্প।
[আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুকে ৫ হাজার কিউসেক জল দেবে কর্নাটক, নির্দেশ কাবেরী জলবণ্টন কর্তৃপক্ষের]
তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) জল ছাড়া নিয়ে কাবেরী নদীর জল অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছে। এবিষয়ে রিপোর্ট তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। গত সোমবার কাবেরী জলবণ্টন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দেয়, আগামী ১৫ দিন তামিলনাড়ুকে প্রতিদিন ৫০০০ কিউসেক জল দেওয়া হবে। কমিটির এই সিদ্ধান্তের পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে কন্নর কৃষক সংগঠনগুলো। তাদের অভিযোগ, তামিলনাড়ুকে বেশি জল দেওয়া হলে তার প্রভাব পড়বে রাজ্যে। চাষবাসের ক্ষতি হবে।
উল্লেখ্য, ২৬ সেপ্টেম্বরের বনধের পাশাপাশি ২৯ সেপ্টেম্বর গোটা কর্নাটক (karnataka) বনধের ডাক দিয়েছেন প্রখ্যাত কন্নড়পন্থী সমাজকর্মী ভাটাল নাগরাজ। গতকাল এক বৈঠকের পর নাগরাজ জানান, কন্নড়পন্থী সংগঠনগুলো এই বনধের সমর্থন করেছে। তিনি বলেন, কৃষক সংগঠন, লেখক, ব্যবসায়ী সকলের উচিত ২৯ সেপ্টেম্বরের বনধকে সমর্থন করা।