দীপালি সেন: শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) রায়ই শিরোধার্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Calcutta)উপাচার্য পদ থেকে সোনালি চক্রবর্তীকে অব্যাহতি দিল রাজ্য সরকার। তাঁর বদলে আপাতত উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আশিস চট্টোপাধ্যায়কে। তিন মাসের জন্য এই দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। এরপর সার্চ কমিটির মাধ্যমে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে বলে সরকারি সূত্রে খবর।
উপাচার্য (VC) হিসেবে সোনালি চক্রবর্তীর কাজের মেয়াদ শেষ হয় গত বছরে। ২৭ আগস্ট তাঁকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেইমতো তিনি কাজও শুরু করেন। তবে তাঁর এই নিয়োগ নিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। রাজ্য সরকার কীভাবে এই পদ্ধতিতে মেয়াদ শেষ হওয়া উপাচার্যকে পুনর্নিয়োগ করে, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা করেন জনৈক আইনজীবী। হাই কোর্ট রায়ে জানায়, এই নিয়োগ পদ্ধতিতে গলদ রয়েছে। রাজ্য সরকার একার সিদ্ধান্তে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে পুনর্নিয়োগ করতে পারে না। তাই গত বছরের ২৭ আগস্ট রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করা হয়।
[আরও পড়ুন: গুজরাট-হিমাচলে ভোটের মুখে দিওয়ালির উপহার, ১০ লক্ষ চাকরি দেবেন প্রধানমন্ত্রী]
হাই কোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোনালি চক্রবর্তী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন, রাজ্য সরকারও তাতে শামিল হয়। ১১ অক্টোবর বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। বিচারপতিরা জানান, এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায় একেবারে সঠিক, সেই রায়ই বহাল রাখা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতিরা জানান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে যে ‘সমস্যার অপসারণে’র ধারা (রিমুভাল অফ ডিফিকাল্টি) রয়েছে, তার অপব্যবহার করে ওই নিয়াগ হয়েছে। তাতে আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। তাই সোনালি চক্রবর্তীর নিয়োগ একেবারেই যথাযথ নয়।
[আরও পড়ুন: ‘১৪৪ ধারা অমান্য করা চলবে না’, ২০১৪’র টেট আন্দোলনকারীদের নির্দেশ হাই কোর্টের]
এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সোনালি চক্রবর্তীকে অব্যাহতি দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয় বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (Pro VC) আশিস চট্টোপাধ্যায়কে। তিন মাসের মধ্যে সার্চ কমিটির মাধ্যমে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে।