দীপঙ্কর মণ্ডল: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য স্যমন্তক দাসের (Samantak Das) রহস্যমৃত্যু। বুধবার দুপুরে নিজের ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। ক্যারাটের বেল্টের মাধ্যমে গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং থেকে দেহ ঝুলতে দেখা যায়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। খুন নাকি আত্মহত্যা করেছেন তিনি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় রিজেন্ট পার্কের সরকারি আবাসনে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন সহ উপাচার্য। বুধবার সকাল থেকে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘরবন্ধ অবস্থায় ভিতরে ছিলেন সহ উপাচার্য। পরিচারিকা দরজা ধাক্কা দেন। কোনও সাড়াশব্দ পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে পুলিশকে খবর দেন তাঁর পরিবারের লোকজন। খবর পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। দরজা ভেঙে ওই ঘরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধতে মেয়ের বিয়ের গয়না নিয়ে চম্পট দিলেন মহিলা!]
ভিতরে ঢুকে কার্যত অবাক হয়ে যান প্রায় সকলেই। তাঁরা দেখেন, ঘরের ভিতরে সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ক্যারাটের বেল্ট লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন সহ উপাচার্য। তাঁর দেহ উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে কিছুই বলতে পারছেন না তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে কোনও অজ্ঞাত কারণে পারিবারিক সমস্যা চলছিল। আর সে কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সহ উপাচার্য। তার জেরে জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৫৬ বছর বয়সি স্যমন্তক দাস, কলকাতার লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ থেকে আইসিএসই ও আইএসসি পাশ করেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে যাদবপুর থেকেই তিনি পিএইচডি করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সহ উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অত্যন্ত সুমধুর সম্পর্ক ছিল তাঁর। আচমকা অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যু মানতে পারছেন না তাঁর ছাত্রছাত্রীরা।