সুলয়া সিংহ: শারদীয়ার সাজে সাজছে বাংলা। শুধু বাংলা না দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুজোর প্রস্তুতি চলছে। বাঙালি ছড়িয়ে বিশ্বের কোনায় কোনায়। শরতের সেই হাওয়া বয়ছে টেমসের তীরেও। প্রথমবার লন্ডনের পিৎজহ্যাঙ্গার ম্যানরে হতে চলেছে শারদ উৎসব(Probashe Durga Puja 2024)। বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে এই ভবনে তুলে ধরা হবে। গ্রেড ওয়ান তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি সাজবে চনন্দনগরের আলোকসজ্জায়।
বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন নামের এই সংস্থাটি ১৫ বছর ধরে ইংল্যান্ডের মাটিতে পুজো করে আসছে। এবার তাঁদের ১৬ তম বর্ষের পুজো। এই বছরে পুজো হবে ইংরেজ কান্ট্রি হাউসে। বিদেশের মাটিতে বিশেষত লন্ডনের বুকে হেরিটেজ ভবনে দুর্গাপুজো অন্য মাত্রা যোগ করবে বলে মত উদ্যোক্তাদের। চন্দননগরের সরকার ইলেকট্রিক্যালসের অরিন্দম সরকার বলেন, "এই ঐতিহ্যবাহী ভবনের ঘর ভরে উঠবে বাংলার নকশার আলোয়। সঙ্গে চব্বিশ হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি ফুটে এই উৎসব প্রাঙ্গণে।"
পিৎজহ্যাঙ্গার ভবন।
বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের (বিএইচএফ) পক্ষ থেকে লন্ডন শারদ উৎসব ২০২৪-এর আয়োজন নিয়ে অনিকেত পাত্র বলেন,"এই বছরের পুজো আমরা লন্ডনের প্রাণকেন্দ্র পিৎজহ্যাঙ্গার ম্যানরে নিয়ে এসেছি। এখানে বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। উৎসবের সঙ্গে তা অভূতপূর্ব মাত্রা যোগ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এই উৎসবে আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।"
এই বাড়িটি নিওক্লাসিক্যাল আর্কিটেক্ট স্যার জন সোয়েনের বাড়ি হিসেবে বিখ্যাত। ১৮০০ থেকে ১৮০৪, এই চার বছর ধরে বর্তমান লন্ডনের ওয়ালপোল পার্ক, ইলিং-এ নির্মিত হয় এই বাড়টি। স্যার জন সোয়েন নিজেই বাড়টির ডিজাইন ও নির্মাণ করেছিলেন। এবং বসবাসও করতেন। এটি ১৯৮৭ সালে ইংরেজ সরকার এটিকে ঐতিহ্যবাহী ভবন হিসাবে ঘোষণা করে। জন সোয়েনের বাড়ি ১৯৯৬ থেকে শিল্প প্রদর্শনীর স্থান হিসেবে গড়ে ওঠে । ২০১৫ সালে পিৎজহ্যাঙ্গার ভবনের বড় সংরক্ষণ জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৯-এ ফের তা খুলে দেওয়া হয়। এখন ইংরেজ হলে দেবীমন্ত্র উচ্চারণের অপেক্ষা।
আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে ভবন।