সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শারদোৎসবের আনন্দ কি শুধু বাংলায়? মোটেই না। বাংলার বাইরে ভরপুর বাঙালিয়ানা নিয়ে স্বমহিমায় ধরা দেয় শারদীয়ার আনন্দ। এই যেমন দুবাইয়ে (Dubai)। ‘বং কানেকশন দুবাই’ হাত ধরে মরু শহরেই যেন গড়ে উঠেছে একচিলতে পুরনো কলকাতা। একেবারে নবজাগরণের সময়। সৌজন্যে দুর্গাপুজো (Durga Puja)। আসলে পুজো মানে তো একরাশ আবেগ আর সুখস্মৃতি। সেই আবেগ আর স্মৃতিতে ভর করেই গত ১২ বছর ধরে দুবাইয়ে দুর্গাপুজোর আয়োজন করে আসছে ‘বং কানেকশন দুবাই’ (BCD)। এবার তার ব্যতিক্রম হলো না।
BCD-র পুজো মানে বাঙালিয়ানার উদযাপন। পুজোর কটি দিন এখানকার বাঙালিরা সকলে এক হয়ে একান্নবর্তী পরিবারের মতো সময় কাটান। ঠিক যেমন একচালার দুর্গা, সপরিবারে আসেন। শুধু সেরা উৎসবের আনন্দ উদযাপনেই এই শারদোৎসবের আয়োজন, তেমনটা নয়। বরং আপন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি রক্ষার দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যেও চারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন এখানকার বাঙালিরা। শিকড় থেকে অনেকটা দূরে থাকলেও তার টান যেন বজায় থাকে, সেই লক্ষ্যেই গত ১২ বছর ধরে দুর্গাপুজোর আয়োজন করছে বিসিডি।
[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন, এর বিচার করুন’, ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি ছাড়লেন তামিল অভিনেত্রী]
এবছর এই পুজোর থিম – A Palace in Dreams. ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্যে সাজানো মণ্ডপ, করিনথিয়ান স্তম্ভ, দেবীর মুখমণ্ডলে নিও-গথিক ধাঁচ যেন কোন অতীতকালের কলকাতাকে সামনে এনে হাজির করে। আয়োজকদের বার্তা একটাই, এই থিমের মধ্যে দিয়ে তাঁরা বাংলার পুনর্জাগরণের স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছেন। আর এই পুজোর আরেক বিশেষত্ব হল, খাঁটি দেশীয় রেসিপিতে খাওয়াদাওয়া (Food)। পঞ্চমী থেকে দশমী – এই ৬ দিনে নানারকমের খাবারের স্বাদ উপভোগ করছেন দুবাইবাসী। দক্ষিণ ভারতীয় খাবার থেকে বাঙালির জিভে জল আনা রেসিপির স্বাদে মাত সকলে। এছাড়াও রয়েছে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ও পার্সি খাবারের রকমারি সম্ভার।
[আরও পড়ুন: অনুরাগের হাতে হাত, নাড্ডার পাশে বসে বিশ্বকাপে মজে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী]
বং কানেকশন দুবাইয়ের পুজো মানেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতি সন্ধ্যায় নাচ, গান, কবিতা পাঠ, শ্রুতিনাটক পরিবেশন করে পুজোর আনন্দ আরও বাড়িয়ে তুলেছে এখানকার কচিকাঁচারা। বড়দের পারফরম্যান্সও ছিল। ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ খ্যাত শিল্পী রাহুল দেব, বাংলা ব্যান্ড ইতিমধ্যেই গান শুনিয়ে মন জয় করেছেন। বিজয়ায় সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন সৌরেন্দ্র, সৌম্যজিৎ জুটি। উমা বিদায়কালে সিঁদুরখেলার বিষণ্ণতায় মিশে যাবে প্রিয় কথা-সুর ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।