সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরভূমে বাস। তাতে কী? প্রতি বছরের মতো এবারও মার্কিন মুলুকে শারদোৎসব জমজমাট। এক বছরের অপেক্ষার অবসান। পুজো শুরুর আগেই যেন উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশিষ্ট আর্টিস্ট কোঅর্ডিনেটর জোনাই সিংয়ের ব্যাবস্থাপনায় USA-তে আবারও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান।
এবারের চমকের তালিকায় রয়েছে পঁচিশ বছর আমেরিকার মঞ্চে একসঙ্গে জয় সরকার ও লোপামুদ্রা মিত্র। ইমন চক্রবর্তীর পরপর টানা দশ বছর US কনসার্ট। এই প্রথম আমেরিকা সফরে বাংলা ব্যান্ড পৃথিবী, অন্তরা নন্দী। সবমিলিয়ে এবার মার্কিন মুলুকে শারদোৎসব জমজমাট। জয় সরকার, লোপামুদ্রা মিত্র, ইমন চক্রবর্তীর এই সফরের প্রথম অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছে। শ্রোতাদের ফিডব্যাক অসাধারণ বলে জানালেন জোনাই সিং। JSE ইভেন্টসের এ বছরের আরও শিল্পীদের মধ্যে আছেন বাংলা ব্যান্ড ভূমি, জীমুত রায়, হৃতি টিকাদার, পিউ মুখোপাধ্যায়, কুশল পাল, শৌনক চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
[আরও পড়ুন: পুজোর প্রাপ্তি! ‘মিতিন মাসি’ কোয়েলের সঙ্গে দেখা রোনাল্ডিনহোর, উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা]
ইমন চক্রবর্তীর অনুষ্ঠান আছে আটলান্টা, ডালাস, কানসাস সিটি, নিউ জার্সি, লস অ্যাঞ্জেলস-সহ আরও একাধিক শহরে। অন্যদিকে জয় সরকার-লোপামুদ্রা মিত্র অনুষ্ঠান করবেন আটলান্টা, বস্টন, অস্টিন, টাম্পা, নিউ জার্সি-সহ অন্যান্য শহরে। ভূমি অনুষ্ঠান করবে আটলান্টা, কলম্বাস, বস্টন, মেরিল্যান্ড-সহ নানা শহরে। অন্তরা নন্দীর প্রথম US সফরের ভেনুর তালিকায় রয়েছে ডালাস, আটলান্টা, বস্টন, ভার্জিনিয়া। পৃথিবী অনুষ্ঠান হবে নিউ জার্সি, হস্টন, সাউথ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, সান ফ্রান্সিসকোর মতো শহরে।
এই মহা কর্মযজ্ঞ নিয়ে জোনাই সিং বলেন, “লোপা এবং জয় পঁচিশ বছর পর মার্কিন পুজোর মঞ্চে অংশ নিচ্ছেন। যেখানে ইমান চক্রবর্তী তাঁর USA ট্যুরের দশ বছর উদযাপন করছেন। বাংলা গানে ভূমির ‘চব্বিশ বছর’ পূর্তি মার্কিন মঞ্চেও দোলা দেবে আমি নিশ্চিত। অন্তরা নন্দীর মতো তরুণ শিল্পী বা পৃথিবীর মতো ব্যান্ডকেও প্রথমবারের মতো প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছে প্রবাসী পুজো। আমরা এই প্রবাসী বাঙালি পুজো উদযাপনের একটা ছোট অংশ হতে পেরে ভীষণ আনন্দিত।”
ইমন চক্রবর্তী এই সফরের প্রথম অনুষ্ঠানের পর মঞ্চে বলেন, “এই দশ বছরে অনেক কিছু শিখেছি। বিদেশের মাটিতে এই দশ বছরের কাজ আমার অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে।” লোপামুদ্রা মিত্র এবং জয় সরকারের বক্তব্য, “শারদোৎসবের শুভেচ্ছা সবাইকে জানাই। আমরা পাঁচিশ বছর পর আবার একসঙ্গে মার্কিন মুলুকে অনুষ্ঠান করছি। অনেক পুরনো স্মৃতি আছে। জোনাইকে অনেক ধন্যবাদ সেইসব দিন মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।”