সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ (PFI)-কে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়ে গিয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র।
গতকাল বৃহস্পতিবার কর্ণাটক-সহ (Karnataka) দেশের অন্তত ১০টি রাজ্যে অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনএআইএ ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জঙ্গিদের অর্থ জোগানো-সহ একাধিক অভিযোগে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র (পিএফএআই) ১০০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। সেই বিষয়ে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেন, “গোটা দেশে পিএফআই ও এসডিপিআই-কে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্ণাটক ছাড়াও দেশের অন্যান্য জায়গায় একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সংগঠনটির। এদের কুকীর্তির কথা সবাই জানে। কোন জায়গা থেকে তাদের কাছে এতো টাকা আসছে। কারা রয়েছে এই সংগঠনের নেপথ্যে। সেসব জানতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতি পদে থাকবেন না গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য! রাহুলের ইচ্ছার কথা জানালেন গেহলট]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, পিএফআই-র (PFI) সঙ্গে কংগ্রেস দলকে জড়িয়ে মন্ত্রী জ্ঞানেন্দ্র বলেন, “এত বছর পিএফএআই-কে প্রশ্রয় দিয়েছে কংগ্রেস। যদি এদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় তাহলে জাতি, ধর্ম, লাভ, ক্ষতি এসবের ঊর্ধ্বে উঠে পদক্ষেপ করতে হবে। এর জন্য সবার সহযোগিতার প্রয়োজন।” বলে রাখা ভাল, আগামী বছরই বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেসকে জড়িয়ে মন্ত্রী জ্ঞানেন্দ্রর এহেন মন্তব্যে অনেকেই রাজনীতির রং দেখতে পাচ্ছেন। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের পিএফআই নেতা মিনারুল শেখকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অসম পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বেঙ্গালুরুর সাম্প্রদায়িক হিংসার নেপথ্যে পিএফআইয়ের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে অসমে একটি উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে দখলদারদের উসকে হামলা করানোয় হাত রয়েছে পিএফআই-র বলে দাবি।