shono
Advertisement

পূর্ব শত্রুতার জের, সেন্ট জেভিয়ার্সের অধ্যাপক ও স্ত্রীকে মারধরে অভিযুক্ত আরেক অধ্যাপকই

অভিযুক্ত অধ্যাপক এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় বাড়ছে ক্ষোভ।
Posted: 09:57 PM Nov 20, 2020Updated: 09:57 PM Nov 20, 2020

কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: আবাসনের গ্যারাজে গাড়ির রাখা নিয়ে আগেকার বচসা। পূর্বের সেই শত্রুতার জেরে লোহার রড, বাঁশ দিয়ে অধ্যাপককে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ। নিউটাউনের (New Town) এই ঘটনায় কাঠগড়ায় আরেক অধ্যাপকই। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামলেও রাত পর্যন্ত অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলেই সূত্রের খবর।

Advertisement

আক্রান্ত প্রফেসর রায়

ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। সেদিন সন্ধ্যায় সেন্ট জেভিয়ার্সের কেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.অঙ্কুর রায় স্ত্রী, ছেলেমেয়েকে নিয়ে চিকিৎসাকেন্দ্র গিয়েছিলেন। সন্ধে ছ’টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন। গাড়ি পার্ক করতে যান আবাসনের পিছনদিকে। অভিযোগ, সেই সময় স্ত্রীর প্রবল চিৎকার শুনে তিনি এসে দেখেন, চার যুবক লোহার রড দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে মাটিতে ফেলে মারধর করছে। আঘাতের চোটে স্ত্রীয়ের বাঁ হাত গুরুতর জখম হয়। অধ্যাপক রায় বাধা দিতে গেলে রড এবং হাতুড়ি জাতীয় কোনও অস্ত্র দিয়ে মিনিট তিনেক ধরে উপর্যুপরি আঘাত করা হয় তাঁকে। আঘাতের চোটে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। ১৪ বছরের ছেলে আয়ান মা, বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। 

[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল ভোটের জন্য একটি সম্প্রদায়কে উত্‍সাহ দিচ্ছে’, ভিনধর্মে বিবাহিত বধূর মৃত্যুতে তোপ লকেটের]

যাঁর বিরুদ্ধে এহেন গর্হিত কাজের অভিযোগ উঠেছে, তিনি নিজেও অধ্যাপক। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সহ অধ্যাপক মেহেদি হাসান। যদিও ডক্টর রায়ের পরিবারের উপর হামলার কথা তিনি অস্বীকার করে পালটা অভিযোগ জানিয়েছেন যে তাঁর দুই ভাইই প্রথমে হামলার মুখে পড়েন। নিউটাউনের এই আবাসনের পাশাপাশি কাজের সূত্রে প্রফেসর হাসান বেশিরভাগ সময় থাকেন মুর্শিদাবাদে। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার পর তিনি জানিয়েছেন, ”হামলার অভিযোগ ঠিক নয়। আমার দুই ভাই মাসুদ এবং এবং মোরশেদ আলম ওই আবাসনে ছিল। মঙ্গলবার আগে তাঁদেরই উপর হামলা চালান প্রফেসর রায় ও তাঁর পরিবার।” যার জেরে হাসানের এক ভাইকে হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

[আরও পড়ুন: প্রতিবেশীর লালসার শিকার স্ত্রী, প্রতিশোধ নিতে খুনের ছক স্বামীর! তারপর….]

কিন্তু আচমকা কেন এক অধ্যাপক আরেকজনের বিরুদ্ধে এমন মারমুখী হয়ে উঠলেন? প্রফেসর রায় জানিয়েছেন, আবাসনে গাড়ি রাখা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে একবার বচসা হয়েছিল বছরখানেক আগে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আরেকটি অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই অধ্যাপকের মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছিল। পুলিশের কাছে এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অধ্যাপক হাসানের বক্তব্য, আবাসনের হিসাব দেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল উভয়ের মধ্যে। আবাসন কমিটির পক্ষ থেকে তিনি হিসাব বুঝিয়ে দিতে বলেছিলেন অধ্যাপক রায়কে। তারপর থেকেই মারমুখী হয়ে উঠেছিলেন অঙ্কুর রায়। একবার মারধর করে তিনি প্রফেসর হাসানের পায়ের হাড়ও ভেঙে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ অধ্যাপক। পুলিশ উভয়ের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সেন্ট জেভিয়ার্সের বিভাগীয় প্রধানকে এভাবে মারধরের ঘটনায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অধ্যাপকদের একাংশ ক্ষুব্ধ। সঠিক তদন্ত এবং দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement