সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানি লস্কর (LeT) জঙ্গি আবদুল রশিদ ওরফে জাহাঙ্গিরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) প্রশাসন। পলাতক এই জঙ্গি নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে সন্ত্রাসমূলক ষড়যন্ত্র করে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক এমনটাই জানিয়েছেন। উপত্যকার ডোডা জেলার খানপুরা গ্রামে রয়েছে ওই জঙ্গির বাড়ি। যা শনিবার বাজেয়াপ্ত করা হল।
ডোডার সিনিয়র পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট আবদুল কায়ূম জানিয়েছেন, পুলিশ চেষ্টা করছে স্থানীয় জঙ্গিদের পাকড়াও করতে। এদের মধ্যে অনেকেই পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে দেশের শান্তি বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। এদেরই অন্যতম জাহাঙ্গিরও। ১৯৯৩ সালে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেয় সে। ফিরে আসে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে। তারপর থেকেই কাশ্মীরের নানা স্থানে জঙ্গি কার্যকলাপের পিছনে ছিল তার হাত। বহু তরুণকে ভুল বুঝিয়ে জঙ্গি দলে ঢোকানোর কাজও করত সে। এছাড়াও বহু জঙ্গি হামলা, ড্রোনে করে অস্ত্র পাচারের মতো নানা কাণ্ড ঘটিয়েছে রশিদ। অবশেষে বাজেয়াপ্ত করা হল তার সমাপ্তি।
[আরও পড়ুন: অরুণাচলে চিনা আগ্রাসন নিয়ে কটাক্ষ, রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের দাবি বিজেপির]
উল্লেখ্য, মাত্র কয়েক দিন আগেই কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দাবি করেন, উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ তলানিতে এসে ঠেকেছে। তিনি বলেন, “বর্তমানে একজনও বড় জঙ্গি বেঁচে নেই। এদের ৪৪ জনকে চলতি বছরে খতম করা হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, একটিমাত্র জেলা ছাড়া সব জায়গা থেকেই জঙ্গিদের নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এখান থেকেও সন্ত্রাসবাদকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হবে। এই পরিস্থিতিতেই এবার বাজেয়াপ্ত করা হল আবদুল রশিদের সম্পত্তি।
আগামী বছর কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। ফলে কাশ্মীরে (Kashmir) জোর কদমে জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। সেই জঙ্গিদমন অভিযানের অংশ হিসাবেই গত সেপ্টেম্বর ও চলতি মাসে বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ফৌজ। কিন্তু উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে সীমান্তের ওপার থেকে জেহাদিদের পাঠাচ্ছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। বিশ্লেষকদের মতে, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফেরাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র সরকার। তাই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের যে রেয়াত করা হবে না, সেই বার্তাই দিচ্ছে দিল্লি।