সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ ধারা বাতিলের ৩ বছর বাদে নতুন কর চালু করল কাশ্মীর প্রশাসন। এবার থেকে কাশ্মীরের শহরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দিতে হবে সম্পত্তিকর। বৃহস্পতিবার নয়া নিয়ম পাশ করিয়েছেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা (Manoj Sinha)।
কাশ্মীর (Kashmir) প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে, সে রাজ্যের পুরসভাগুলি রীতিমতো রুগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দৈনন্দিন খরচ চালানোর মতো সংস্থান নেই। পুরসভাগুলি নিজেদের খরচের মাত্র ১৫ শতাংশ নিজেদের বিভিন্ন উৎস থেকে তুলতে পারে। বাকিটা বহন করতে হয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে। এই সংকট থেকে বেরোনোর জন্য পুরসভাগুলির আয় বাড়ানোর দরকার ছিল। সেকারণেই সম্পত্তিকর চালু হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছড়ে মারল হাতি, পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু]
জানা গিয়েছে, এবার থেকে কাশ্মীরের শহরাঞ্চলে বসতবাড়ির ক্ষেত্রে মোট করযোগ্য দামের ৫ শতাংশ সম্পত্তি কর (Property Tax) হিসাবে দিতে হবে। বসতবাড়ি নয় এমন জমির ক্ষেত্রে সেটা বেড়ে হবে ৬ শতাংশ। তবে ফাঁকা জমি বা পোড়ো জমির ক্ষেত্রে কর প্রযোজ্য হবে না। একই সঙ্গে কোনও ধর্মস্থান অর্থাৎ মন্দির, মসজিদ, গির্জা, শ্মশান, কবরস্থানের জন্য কোনওরকম কর দিতে হবে না। সরকারের দাবি, এই সম্পত্তিকর চালু হলে অনেক রোজগার বাড়বে স্থানীয় পুরসভাগুলির। ফলে উন্নয়নের কাজ সহজে হবে উপত্যকায়। আগামী এপ্রিল থেকে এই নতুন কর চালু হবে।
[আরও পড়ুন: BSF মহিলা কনস্টেবলকে ধর্ষণের অভিযোগে অবশেষে ধৃত কোম্পানি কমান্ডার]
ঘটনাচক্রে কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং বাণিজ্যিক সংগঠন এই নতুন করকাঠামোর বিরোধিতা করছে। আসলে দীর্ঘদিন সন্ত্রাসের কবলে থাকা উপত্যকায় এতদিন কোনওরকম সম্পত্তিকর দিতে হত না। কেন্দ্র সরকারের দাবি, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের সুবাদে কাশ্মীর এখন শান্ত। আর সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া নয় কাশ্মীর। আয়ও বাড়ছে কাশ্মীরবাসীর। সেকারণেই এই নতুন কর কাঠামো চালু করা হচ্ছে। যা পুরসভাগুলিকে স্বনির্ভর করবে। এর আগে ২০২০ সালেও এই সম্পত্তিকর চালুর চেষ্টা করেছিল কাশ্মীর প্রশাসন। কিন্তু সেবার জনরোষে পিছু হটতে হয় প্রশাসনকে।