সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমেই তীব্র হচ্ছে প্রতিবাদ। বিক্ষোভের আগুনে এবার রাঁচিতে প্রাণ হারালেন দু’জন। আহত অন্তত ১০ জন।
হজরত মহম্মদকে নিয়ে মন্তব্য (Prophet Comments Row) করে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন নূপুর শর্মা। যার প্রতিবাদে রাজধানী দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ, বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ড-সহ বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার রাঁচিতে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ লাগে বিক্ষোভকারীদের। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে নূপুর শর্মাকে। পুলিশকে তাক করে ইটবৃষ্টিও শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। করা হয় লাঠিচার্জও। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে গুরুতর আহত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দুই বিক্ষোভকারীকে। সেখানেই তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বাকি দশজনের চিকিৎসা চলছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: মৌর্য-গুপ্ত-পাণ্ড্যদের নয়, মুঘলদেরই গুরুত্ব দিয়েছেন ইতিহাসবিদরা, মন্তব্য অমিত শাহর]
নূপুর শর্মা (Nupur Sharma) এবং নবীন জিন্দালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে বিরাট সংখ্যক প্রতিবাদী গতকাল রাঁচির বড় রাস্তায় জমায়েত করে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, তার জন্য মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। ওই এলাকার বেশিরভাগ দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি পুরোপুরি সামলানো সম্ভব হল না। বিভিন্ন জায়গায় আগুন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে হয়রানির শিকার হন সাধারণ মানুষ। সড়ক অবরোধের জেরে আটকে পড়েন যাত্রীরা। আর সেই অশান্তির পরিবেশেই প্রাণ গেল দুই বিক্ষোভকারীর।
গুলিবিদ্ধ হয়ে দু’জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন সিটি পুলিশ প্রধান অংশুমান কুমার। তিনি জানান, মোট আটজন বিক্ষোভকারী এবং চার পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রয়োজনে গ্রেপ্তারও করা হবে তাদের। পাশাপাশি তিনি এও জানান, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একাধিক জায়গায় জারি ১৪৪ ধারা। আজ পর্যন্ত রাঁচিতে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও।
একটি মন্দিরের ভিতরে বোমা মারার চেষ্টা করে কয়েকজন দুস্কৃতি। মন্দিরের পুরোহিত সেইসময়ে উপস্থিত ছিলেন। তবে এই ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।