সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হজরত মহম্মদকে নিয়ে কথা নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রীতিমতো রণক্ষেত্র পরিস্থিতি বাংলায়। লাগাতার বিক্ষোভের জেরে এবার বন্ধ করে দেওয়া হল হাওড়ার ইন্টারনেট পরিষেবা। হাওড়া কমিশনারেট ও গ্রামীণে সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। প্রতিবাদের আঁচ যাতে দাবানলের মতো না ছড়ায়, তার জন্য আগামী ১৩ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে অবরোধ না করার আবেদন জানিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীদের। কিন্তু তাঁর আবেদনে সাড়া মেলেনি। শুক্রবার ফের রেল-রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষজনের দুর্ভোগ বাড়ায় বিক্ষোভকারীরা। এদিন উলুবেরিয়া, পাঁচলায় দফায় দফায় অবরোধ করা হয়। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে প্রতিবাদীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে হয় ইটবৃষ্টিও। ডোমজুড় থানা চত্বরে আবার আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় ব়্য়াফ। একাধিক ঘটনাস্থলে মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
[আরও পড়ুন: ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রীর প্রাপ্ত নম্বর ৩৭৫, পরিবারে কান্নার রোল]
এদিকে এই ঘটনার জেরে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। জানা গিয়েছে, হাওড়া-দিঘা স্পেশ্যাল, হাওড়া-ভদ্রক বাঘাযতীন, হাওড়া-টাটানগর স্টিল-, শালিমার-পুরী-সহ মোট ৩০টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। অন্য রুটে চলবে হাওড়া-মুম্বই সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস।
এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ই-মেল মারফত চিঠি পাঠান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, প্রতিবাদের নামে বিশৃঙ্খলা চলছে। সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া উচিত প্রশাসনের বলে দাবি করেন তিনি।
বিজেপির আইটি সেলের প্রধানও টুইট করে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হন। লেখেন, যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা জাতীয় সড়কে সাধারণ মানুষ আটকে পড়েছিলেন, তখন প্রশাসন হাত গুটিয়ে দেখেছে। গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বলেন, যেটা হচ্ছে, সেটা একেবারেই ঠিক নয়। বিক্ষোভের জেরে অ্যাম্বুল্যান্সও দাঁড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিজে সকলকে আন্দোলন না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।