ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় গঙ্গা পাড় ভাঙন রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ কমিটির প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল বিধানসভায়। মঙ্গলবার শাসক-বিরোধী সর্বসম্মতিক্রমেই এই দাবি পাশ হল।
কয়েকদিন আগে বিধানসভায় গঙ্গা পাড় ভাঙন রোধ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, ভাঙন রুখতে রাজ্যকে টাকা দিক কেন্দ্র। শাসক-বিরোধী একজোট হয়ে একটি টিমকে এই প্রস্তাব নিয়ে পাঠানো হোক দিল্লিতে। আজ সেই বিষয়েই প্রস্তাবই আনে শাসক দল। স্পিকারের কাছে প্রস্তাব পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাও প্রস্তাবটি সমর্থন করেন। তিনি বলেন, “এই প্রস্তাব খারাপ নয়। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমাদের রাজনৈতিক মতভেদ থাকতেই পারে। তবে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য একজোটে প্রস্তাব আনতে কোনও আপত্তি নেই। এ নিয়ে আলোচনা করব বিরোধী দলনেতার সঙ্গে। আমরা নিশ্চয় চাইব রাজ্যের উন্নয়ন। উন্নতি হোক রাজ্যের। আমাদের সহযোগিতা থাকবে।”
[আরও পড়ুন: চরণ ছুঁয়ে যাই…! বিশ্বকাপের মাঝেই কিংবদন্তি রোনাল্ডোর পা ছুঁয়ে গোলপ্রার্থনা রডরিগোর]
১২ জনের প্রতিনিধি দল তৈরি করে দিল্লি যেতে বলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার প্রস্তাব পাশ করার সময় বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, এই সময় মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা থাকলে ভাল হত। প্রাক্তন সেচ মন্ত্রী মানস ভূইয়া বলেন, সংবেদনশীল বিষয়। আমি নিজে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে দায়িত্ব পেয়ে দিল্লি গিয়ে এ নিয়ে কাজ শুরু করি। এটা নিয়ে এখনই কাজ না শুরু করলে মালদহ, মুর্শিদাবাদ গঙ্গার তলায় চলে যাবে। সুন্দরবনের ১০ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে ২ হাজার কিলোমিটার ইতিমধ্যে ডুবে গিয়েছে। চলুন আমরা একসঙ্গে দিল্লি যাই। বাংলা বাঁচাই।”
এই প্রস্তাব পাশ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি আজ বিধানসভায় থাকতে পারেননি। তবে এ নিয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরিষদীয় কমিটিকে জানাবেন তাঁরা। তিনি বলেন, “আমাদের কিছু প্রশ্ন রয়েছে। সেসব নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”